ঢাকা: বিজয় দিবসকে সামনে রেখে রোববার সিডনির কুজি সৈকতের ক্লোভ রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া ও মহাজোট।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পিএস চুন্নুর উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন কবি, শিক্ষাবিদ ডক্টর আবুল হাসনাৎ মিল্টন, আল-নোমান শামীম, শেখ শামীমুল হক, গামা আব্দুল কাদির, ড. মাসুদুল হক, মিসেস নওজাত জালাল, মিসেস লুৎফুন্নেসা, দীপংকর সাহা দীপু, মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ।
সভায় কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট শাখাওয়াৎ নয়নকে পাবলিক হেলথ-এ পিএইচডি ডিগ্রি লাভের জন্য সংবর্ধনা দেয়া হয়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, বিএমএ নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন তার বক্তৃতায় বলেন, কেবল বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাই পারেন জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি যখন বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন, তখন তিনি একটি কথা খুব গুরুত্বের সঙ্গে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছেন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দেবো।
প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, আপনাদের পাঠানো টাকায় বাংলাদেশ এখন একটি শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়ে এখন ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌছেছে। বাংলাদেশ নিজের টাকায় পদ্মাসেতুর মতো বিরাট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আপনাদের কাছে আমার একটি অনুরোধ, আপনারা দেশে গেলে অন্তত একটি দিনের জন্য হলেও হলিডেতে ট্যুরে যাবেন। আপনাদের সন্তানদেরকে আমাদের কক্সবাজার, সুন্দরবন দেখাবেন। তাতে তারা যেমন আমাদের দেশ সম্পর্কে জানবে, একই সাথে বাংলাদেশও উপকৃত হবে।
ডাঃ রুস্তম আলী ফরায়েজী বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ পিছিয়ে যেত। আবার সামরিক শাসন কায়েম হতো। গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ছাড়া কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৪