ঢাকা: দেশের আকাশপথের নতুন দুয়ার রাজধানীর তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন হবে আজ। সফট ওপেনিং বা আংশিক উদ্বোধন বলা হচ্ছে একে।
বলা হচ্ছে এই টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে দেশের এভিয়েশন সেক্টরে নতুন মাত্রা যোগ হবে। নতুন এই টার্মিনাল ভবন নির্মাণের পর বিদেশি বেশ কিছু এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহ দেখিয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিন তলাবিশিষ্ট তৃতীয় টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য থাকছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এই টার্মিনাল ভবনের নকশা করেছেন সিঙ্গাপুরের খ্যাতনামা স্থপতি রোহানি বাহারাইন।
জেনে নিন নতুন এই টার্মিনালে যাত্রীরা যেসব সুবিধা পাবেন-
• এই টার্মিনালে সর্বমোট ২৪টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থা থাকবে। তবে প্রকল্পের প্রথম ধাপে চালু করা হবে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ।
• বহির্গমনের জন্য রাখা হবে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার। এর মধ্যে থাকবে ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টার। যার সাহায্যে যাত্রীরা সহজে, স্বল্প সময়ে নিজে-নিজেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।
• ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে মোট ৬৬টি।
• আগমনীর ক্ষেত্রে ৫টি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি পাসপোর্ট ও ১৯টি চেক-ইন অ্যারাইভাল কাউন্টার থাকবে।
• তৃতীয় টার্মিনালে মোট ১৬টি আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে। এরমধ্যে অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য থাকবে চারটি পৃথক বেল্ট।
• তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে নির্মাণ করা হবে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং ভবন। এতে ১ হাজার ২৫০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
• ভবনের অভ্যন্তরে দক্ষিণ পাশে সর্বাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ভিভিআইপি স্পেস রাখা হবে।
• টার্মিনাল ভবনের সঙ্গে ভূ-গর্ভস্থ সুড়ঙ্গ পথ ও উড়াল সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ থাকবে।
• তৃতীয় টার্মিনালে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা।
• নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালটিতে আছে স্ট্রেইট এসকেলেটর লাগানো হবে। যারা বিমানবন্দরের দীর্ঘপথ হাঁটতে পারবেন না, তাদের জন্য এ ব্যবস্থা। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের বিমানবন্দরে যাত্রীদের এ ব্যবস্থা থাকে।
• টার্মিনালের প্রতিটি ওয়াশরুমের সামনে থাকবে একটি করে বেবি কেয়ার লাউঞ্জ। এ লাউঞ্জের ভেতর ব্রেস্ট ফিডিং বুথ; বড় পরিসরে ফ্যামিলি বাথরুম থাকবে। এছাড়াও বাচ্চাদের জন্য থাকবে চিলড্রেন প্লে এরিয়া।
• টার্মিনালে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকসহ থাকছে হেলথ ইন্সপেকশন সুবিধা, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্স্ট-এইড রুম, করোনাসহ বিভিন্ন রোগ শনাক্ত করণ কেন্দ্র ও আইসোলেশন এরিয়া।
• সময় কাটানোর জন্য নতুন এই টার্মিনাল ভবনে থাকবে মুভি লাউঞ্জ, এয়ারলাইন্স লাউঞ্জ, ডে-রুম।
• ঘোরাফেরা ও কেনাকাটার জন্য তৈরি হচ্ছে ১৪টি স্পটে ডিউটি ফ্রি শপ।
• টার্মিনালের বাইরে ও ভেতরে থাকবে ফুড কোর্ট, ফুড গ্যালারি, ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল চার্জিংয়ের সুবিধা।
• এছাড়াও নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক নামাজের জায়গা থাকবে টার্মিনালে । যাত্রীদের রিসিভ করতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য মিটার্স অ্যান্ড গ্রিটার্স প্লাজাও থাকবে এই টার্মিনালে।
এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি)-এর মাধ্যমে জাপানের মিৎসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসাং টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৩
এমকে/এসএএইচ