ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

বছরে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের পা পড়বে থার্ড টার্মিনালে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৩
বছরে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের পা পড়বে থার্ড টার্মিনালে 

ঢাকা: বর্তমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রতি বছর ৬৫ থেকে ৮০ লাখ যাত্রী চলাচল করেন। এটিই বর্তমানে সক্রিয় দুই টার্মিনালের সর্বোচ্চ সক্ষমতা।

 

তবে, থার্ড টার্মিনাল পুরোদমে চালু হলে সক্ষমতা বেড়ে দাঁড়াবে দ্বিগুণ।

থার্ড টার্মিনালের রিভাইজড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) থেকে জানা যায়, থার্ড টার্মিনালে দুই লাখ ২৬ হাজার বর্গমিটারের তিনটি ফ্লোরের একটি মডার্ন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন রয়েছে। বর্তমানে বিমানবন্দরের ১ ও ২ নম্বর টার্মিনালে বছরে ৬৫ থেকে ৮০ লাখ যাত্রী চলাচল করেন। নতুন টার্মিনাল চালু হলে ধারণক্ষমতা হবে দ্বিগুণ। অর্থাৎ অন্তত এক কোটি ২০ লাখ মানুষের পা পড়বে এখানে।

বহুল আকাঙ্ক্ষিত হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন হয়েছে শনিবার (৭ অক্টোবর)। এটির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

তবে, এখনই পুরোপুরি উদ্বোধন হচ্ছে না তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৪ সালের শেষের দিকে থার্ড টার্মিনালের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হবে। সেই সঙ্গে বাড়বে বিমানবন্দরের যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, যাত্রীদের সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি থার্ড টার্মিনালের কারণে বাড়বে বিমানবন্দরের কার্গোসক্ষমতা। বর্তমানে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের উত্তর পাশে আলাদা আমদানি-রফতানি কার্গো ভিলেজ ভবন করা হয়েছে। পৃথক কার্গো ভিলেজগুলো থাকবে বিশ্বের উন্নত দেশের বিমানবন্দরের মতো সর্বাধুনিক সুবিধাসম্বলিত। এটি মোট ৬৩ হাজার বর্গমিটারের। বর্তমানে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের ধারণক্ষমতা ২ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন টন। তৃতীয় টার্মিনাল হলে ধারণক্ষমতা গিয়ে ঠেকবে চার মিলিয়ন টনে। নতুন এ কার্গো ভিলেজ দেশের রফতানি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।  

তবে বেবিচক জানিয়েছে, থার্ড টার্মিনালের কার্গো অপারেশন ২০২৪ সালের শেষের দিকে শুরু হবে।

এদিকে, যাত্রীসক্ষমতা বাড়ায় বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহ দেখিয়েছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। বাংলাদেশের‍ এয়ারলাইন্সগুলোও তাদের ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।  

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে মুখিয়ে রয়েছে ১২টি বিদেশি এয়ারলাইন্স। তাদের কেউ কেউ বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে, মৌখিকভাবেও জানিয়ে রেখেছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে মুখিয়ে রয়েছে ১২টি বিদেশি এয়ারলাইন্স। তাদের কেউ কেউ বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে, মৌখিকভাবেও জানিয়ে রেখেছে।  

ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা এয়ারলাইন্সগুলো হলো- শ্রীলঙ্কার ফিটস এয়ার, দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়ান এয়ার, আবুধাবিভিত্তিক উইজ এয়ার, ইন্দোনেশিয়ার গারুদা ইন্দোনেশিয়া, ইরাকের ইরাকি এয়ারওয়েজ, জর্দানের রয়াল জর্দানিয়ান, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স, এয়ার ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। আবেদনকারীদের মধ্যে ইতোমধ্যে অনুমতি পেয়েছে আফ্রিকাভিত্তিক ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স।

শনিবার (৭ অক্টোবর) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিংয়ের মধ্য দিয়ে দেশ-বিদেশের মানুষের জন্য একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-সম্বলিত টার্মিনালের দ্বার উন্মোচিত হলো। এরই মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এ টার্মিনালের। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দেশ-বিদেশের যাত্রীরা এ টার্মিনালের সবধরনের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।  

বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে অবশ্য প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৩
এইচএমএস/এমইউএম/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।