দেশের শীর্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ সব সময় বৈচিত্র্যসন্ধানী। নতুন সব বিষয়, ভাবনা ও উপস্থাপনার আলাদা ঢঙে পাঠকদের নতুনত্বের স্বাদ দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
নতুন এ বিভাগটি নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে।
ভ্রমণ বিষয়ক একটি বিভাগের নাম ‘ট্রাভেলার্স নোটবুক’? নোটবুক শব্দটা কেন যোগ হলো। এর কোনো বিশেষত্ব আছে?
নোটবুক শব্দটার অর্থ তো ডায়েরি বা দিনপঞ্জি। আর ডায়েরি বা দিনপঞ্জিতে আমরা লিখি যাপিত জীবনের কথা, কোনো বিশেষ ডেট বা আমাদের কর্মপরিকল্পনা, নানা অভিজ্ঞতা। ভ্রমণ জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতার একটি।
এ পাতায় ভ্রমণ বিষয়ে নানা তথ্য পাবেন ভ্রমণপিপাসুরা। কোথায় যাবেন, কীভাবে যাবেন, কোথায় কোথায় ঘুরবেন, কোথায় থাকবেন, খরচ কেমন হবে এসব। আর এসব তথ্য জানাবেন লেখক নিজেই। সে সঙ্গে বাংলানিউজ টিম তো থাকছেই।
‘ট্রাভেলার্স নোটবুক’ শিরোনামটি বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের দেওয়া। তিনি সব সময়ই নতুনত্বের সন্ধানী। বাংলাদেশে অনলাইন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ হিসেবে এ মাধ্যমের সব শাখাতেই অভিনব সৃজনশীলতার সাক্ষর রাখছেন তিনি। অনলাইনে নিত্য-নতুন বিভাগ ও বিষয়ের সন্নিবেশ তার সহজাত সৃজনশীলতারই অংশ। ‘ট্রাভেলার্স নোটবুক’ বিভাগ চালু করার চিন্তাটাও তার। এর মাধ্যমে তিনি বাংলানিউজে ভ্রমণপিপাসুদের ভাব প্রকাশের একটি সময়োপযোগী প্লাটফর্ম গড়তে চান।
মূলত কাদের নিয়ে এ বিভাগের আয়োজন? যে কেউ কি লিখতে পারবেন?
বাংলানিউজের সব পাঠকের জন্যই ‘ট্রাভেলার্স নোটবুক’। যে কেউ তাদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বাংলানিউজ পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করে ভ্রমণের আনন্দ শতগুণ বাড়িয়ে নিতে ও দিতে পারেন।
অন্য কোনো অনলাইন বা পত্রিকার ভ্রমণবিষয়ক পাতার সঙ্গে ট্রাভেলার্স নোটবুক কোথায় স্বতন্ত্র?
এটা তো নোটবুক, কাজেই এখানে ভ্রমণ বিষয়ক সব ধরনের তথ্যই তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে। একজন ভ্রমণপিপাসু এখানে শুধু লেখকের ভূমিকায়ই থাকছেন না, সঙ্গে তিনি একজন গাইডেরও কাজ করছেন, যিনি অন্যদের ভ্রমণের অনুপ্রেরণা যোগাবেন।
যারা লিখতে চান, লিখলেও দেবেন কি দেবেন না ভাবেন, তাদের জন্যই বাংলানিউজ একটা সুযোগ তৈরি করেছে। ডায়েরির পাতায় মানুষ যেভাবে নিজের মতো করে নিজের কথাটা বা অনুভূতিটা লিখে রাখে, ঠিক সেই লেখাটাই ডায়েরির পাতাবন্দি না রেখে নিজের ভালো লাগার অনুভূতিটা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন। পত্রিকার ক্ষেত্রে ছবি ব্যবহারে এক ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে। অনলাইনে সেটা থাকে না। ভ্রমণের বর্ণনার সঙ্গে ছবিও গুরুত্বপূর্ণ।
দেশ-বিদেশের ভ্রমণবিষক সব লেখাই কি এখানে প্রকাশ হবে? নাকি দেশকে বেশি গুরুত্ব দেবেন?
আসলে ভ্রমণ তো ভ্রমণই। মনের খোরাক। সেটা দেশই হোক আর বিদেশই হোক। তারপরও কথা থেকে যায়।
আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস এতো সমৃদ্ধ, এমনকি বাংলাদেশও ইতিহাস-ঐতিহ্যে এতো সমৃদ্ধ যে পৃথিবীর অনেক দেশেরই তা নেই। আর আমাদের দেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও কম বৈচিত্র্যপূর্ণ নয়। দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস ও ঐতিহ্যময় স্থানগুলোকে খুঁজে বের করে পাঠকদের সামনে তুলে ধরতেই আমাদের এ প্রয়াস। শুধু খুঁজে বের করে এসব জায়গায় ভ্রমণে মানুষকে উৎসাহিত করাই নয়, সেই সঙ্গে তা রক্ষায় মানুষকে সচেতন করাও আমাদের উদ্দেশ্য।
‘ট্রাভেলার্স নোটবুক’ দেশের পর্যটনে কিভাবে সহায়ক ভূমিকা রাখবে?
আমি নিজেই খুব ঘুরতে পছন্দ করি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, একটি দেশের পর্যটনশিল্প দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। নেপাল, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া তার সেরা উদাহরণ। বিশ্বের অনেক দেশেরই পর্যটনশিল্প অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমাদের দেশেও সেটা সম্ভব।
আসলে প্রথম যখন এ পাতাটার কথা ভাবা হয়, তখন মনে হয়েছিলো আমাদের দেশের এমন অনেক জায়গা আছে যেটা সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানে না। আর জানলেও কীভাবে যাওয়া যায়, কত খরচ হয় সেটা জানে না। সেই জায়গাটা যে পর্যটন শিল্পর একটা বড় খাত হতে পারে সেটা খুঁজে দেখা।
লেখকদের জন্য কি কোনো চমক থাকছে?
লেখকদের জন্য চমক তো থাকছে। সবচেয়ে বড় চমক একজন ব্যক্তি হয়তো ভ্রমণ বিষয়ক লেখা লিখতে লিখতেই একজন লেখক হয়ে উঠবেন। লেখক হওয়ার হাতেখড়িও হয়ে যেতে পারে তার।
আর বাংলানিউজের পক্ষ থেকে প্রতি মাসের সেরা লেখকের জন্য থাকছে দেশের যেকোনো স্থানে দু’জনের জন্য ঘুরে আসার সব আয়োজন।
তবে প্রথম সপ্তাহে থাকবে একটি বিশেষ চমক। সাতদিনের সেরা লেখক পাবেন বিশেষ পুরস্কার। সুতরাং, পাঠকদের বলবো যত শিগগিরই সম্ভব লেখা ও পর্যাপ্ত ছবি পাঠান। ঘুরে আসুন সঙ্গীসহ আপনার পছন্দের স্থানে।
থাকুন বাংলানিউজের সঙ্গে, থাকুন ট্রাভেলার্স নোটবুকের সঙ্গে, সঙ্গী হোন আমাদের।
ট্রাভেলার্স নোটবুকে লেখা পাঠান এই মেইলে: [email protected]
চলো আকাশ ছুঁয়ে আসি
শরতের শুভ্রতা ভরা ছুটির দিনে: রামু ছুঁয়ে সমুদ্র অবগাহনে...
লয়ে যায় শূন্য ভরে কোনখানে!
মালয়েশিয়ার ডায়েরি: পর্তুগিজ শহর মালাক্কা
স্বপ্নের রাজ্যে কয়েক দিন
দুর্গম পাহাড়ে জলের কলতান
চির বসন্তের শহর-কুনমিং
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর/ জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর