ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

মোটর সাইকেলে সেন্টমার্টিন

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৪
মোটর সাইকেলে সেন্টমার্টিন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মোটরসাইকেলে বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ট্যুরে গেলেও, সেন্টমার্টিন ট্যুর ছিল ভিন্ন। যেখানে রাইডাররা ছিলেন অত্যন্ত অভিজ্ঞ, নির্ভীক ও পরিশ্রমী।



সেন্টমার্টিন ট্যুরে টোটাল ক্রু ছিলেন ১০ জন, তার মধ্যে ঢাকা থেকে রিয়াজ, রাশেদ, হাসান ও ইজরার, সোনারগাঁ থেকে তুহিন, সিলেট থেকে ম্যাক, জাহিদ ও নাইম, কুমিল্লা থেকে ফয়সাল আর খাগড়াছড়ি থেকে সুজন।

ঢাকা থেকে আমরা চারজন রওনা হই ভোর সাড়ে ৬টায়, আর দাউদকান্দি ব্রিজের কাছে আমাদের সঙ্গে যোগ দেন তুহিন। ঢাকা থেকে কুমিল্লা পৌঁছে যাই ৯টার মধ্যেই। সেখানে আমাদের সঙ্গে যোগ দেন ফয়সাল ভাই। তারপর অপেক্ষা সিলেটি ভাইদের জন্য।

কুমিল্লার নুরজাহান হোটেলের নাস্তা আর চা খেলাম আমরা। কিন্তু তখনও আমাদের সিলেটি ভাইয়েরা এসে পৌঁছাননি। অবশেষে দীর্ঘ ২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর আমাদের সাথে যুক্ত হন সিলেটের নাইম, জাহিদ ভাই ও ম্যাক ভাই।

ম্যাকভাইরা সিলেটের আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে এসেছেন। এদের মধ্যে জাহিদ ভাই ও ম্যাক ভাই প্রবাসী। বাংলাদেশের হাইওয়েতে এটাই তাদের প্রথম যাত্রা। লন্ডনে তারা অনেক খ্যাতিসম্পন্ন গ্রুপের মেম্বার।

যাই হোক কিছুটা দেরি হলেও স্বস্তির শ্বাস ছেড়ে যাত্রা শুরু করি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে, আর সেখানে অপেক্ষায় আছে আমাদের সর্বকনিষ্ঠ টিমমেম্বার আর খাগড়াছড়ির চৌকস রাইডার সুজন। ছোটখাটো টি ব্রেক আর চাকায় হাওয়া দেওয়াসহ খুব ভালো ভাবেই পৌঁছে যাই বন্দর নগরী চট্টগ্রামে।

‘ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’ আর এই কথার সম্পৃক্ততা সেখানে গিয়েই টের পেলাম, সবাই ঝাঁপিয়ে পরল জামান রেস্টুরেন্টের কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন বিরিয়ানি আর বোরহানির ওপর। পেট পূজা শেষ করতে করতেই আমাদের শেষ ক্রু যোগ দেন আমাদের সাথে, আমরা রেডি হই পরবর্তী গন্তব্য কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে।

যাত্রার পূর্বেই কিছুটা ব্রিফিং দেওয়া হয় পরবর্তী রাস্তা ও এর ধরন নিয়ে। পটিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রাস্তা খুবই পিচ্ছিল। কারণ ওই একই রাস্তায় চলাচল করে লবণের ট্রাক, আর সেই লবণ পানিই হয়ে দাঁড়ায় অনেক সড়ক দুর্ঘটনার কারণ।

যা হোক, কিছু নির্দেশিকা আর ব্রিফিং’র পর শুরু করি পরবর্তী যাত্রা। বহদ্দারহাটের নতুন ফ্লাইওভার আর কর্ণফুলী ব্রিজ পার করেই উঠে যাই ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায়। শুরু হয় আঁকাবাঁকা রাস্তা আর সবুজের খেলা। উত্তুরে হাওয়া যেনো জ্যাকেট ভেদ করেই কামড় বসায় শরীরে। সেই সঙ্গে সূর্য দেব বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা এসে আমাদের অপরিচিত রাস্তাকে করে দেয় আরও বেশি অপরিচিত ও রোমাঞ্চকর।

প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কি.মি. গতিতে চালাচ্ছি আমরা, কোথাও বালু আর কোথাও পিচ্ছিল রাস্তা, সেই সঙ্গে কনকনে শীতে হাত জমে আসার জোগাড়, আর এরই মাঝে চলে এসেছি অনেকটা পথ, আর মাত্র ৬৭ কিলোমিটার বাকি থাকতেই আমরা চা পানের বিরতি নেই ইনানী রেস্টুরেন্টে।

গ্রিনলাইন আর সোহাগ বাসের যাত্রীরা একটু অবাক দৃষ্টিতেই তাকাচ্ছিলেন আমাদের দিকে, কেউ কেউ হাতে থাকা মুঠোফোনে কিছু ছবিও তুলে নিলেন। চা পান শেষে আবার কক্সবাজারের দিকে ছুটে আসা।

কাঙ্ক্ষিত সময়ের অনেক আগেই আমরা পৌঁছে যাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সি-বিচ কক্সবাজারে। আর উপভোগ করি তার ছোঁয়া। খানিকটা সময় সবাই যেন ব্যস্ত ছিল নিজেকে নিয়ে, নিজের সমুদ্রের সাথে। সমুদ্রের সাথে কিছুটা একান্ত সময় কাটানোর পর নেমে পড়ি হোটেল খুঁজে বের করার যুদ্ধে। কিন্তু খুবই অবাক হলাম যখন প্রথমেই ঢুকে গেলাম সি-প্যালেস হোটেলে।

হোটেল নির্বাচনের ক্ষেত্রে এর পরিবেশ তো অবশ্যই সেই সঙ্গে মোটরসাইকেল রাখার বন্দোবস্ত আছে কি না তাও দেখে নিলাম আগে থেকেই।

সব কিছুই যেন প্যাকেজ আকারে অপেক্ষা করছিল আমাদের জন্য সি-প্যালেস হোটেলের লবিতে। রিসিপশনে বসা সাইফুল সাহেব খুব অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলেন আমাদের দিকে। আমি রিসিপশনে যেতেই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আমরা ঢাকা থেকে এসেছি কি না? আমরা কি বিডিমোটরসাইক্লিস্ট’র সদস্য? তার কথা শুনে আমরা খুবই আনন্দিত হলাম আর বুঝলাম আমাদের এই ট্যুর সম্পর্কে এখানে সবাই অবহিত, এখানে সবাই আমাদের চেনে।

একে একে আবিষ্কার করলাম এখানে অনেক এক্সিকিউটিব-ই আছেন যারা আমাদের ফেসবুকের ফ্যানপেজের সাবস্ক্রাইবার, মোটরসাইকেল প্রেমিক ও শুভাকাঙ্ক্ষী। তাদের সৌহার্দপূর্ণ ব্যবহার, বেশকিছু সুবিধা ও হোটেল ভাড়ায় ৫০% এরও বেশি ছাড় পাওয়াতে পিঠের ব্যাগ রাখার সিদ্ধান্ত নিলাম ওই হোটেলেই। এই ফাঁকেই অনেক অনেক মানুষের ইন্টারেস্ট আর না জানা তথ্য নিয়ে হাজির হল আমাদের মোটরসাইকেলের কাছে।

যাই হোক অনেক বেশি টায়ার্ড আর ক্ষুদায় সবাই খুব ক্লান্ত। রাতের খাবার খেয়েই তাই চলে যাই নিজ রুমে। এতোটা ক্লান্ত হবার পরও আমাদের ফয়সাল ভাই পরে থাকে তার মোবাইল আর ফেসবুক নিয়ে।

২৬ জানুয়ারি ২০১৪, ভোরে ভোরেই সবাই ঘুম থেকে উঠি, হোটেলের সুস্বাদু বাফেট নাস্তা করেই সবাই ছোটার প্ল্যান করি মেরিন ড্রাইভ ধরে ইনানী যাওয়ার আর সাথে কিছু ফটোশ্যুট করার।

মেরিন ড্রাইভ যেনো সব রাইডারদের কাছেই এক অসাধারণ রোমাঞ্চকর স্থান। নানাভাবে ফটোশ্যুট আর ঘোরাঘুরি করে ফিরে যাই কলাতলি সি-বিচে আর রাতের খাবারের জন্য বেছে নেই রেস্টুরেন্ট ‘কয়লা’। তাদের অসাধারণ আতিথেয়তা আর চরম টেস্টি ফুড সবাই পেট পুরে খেয়ে নিলাম, আর মিটিংয়ে ডিসিশন হলো আগামীকাল আমাদের রেকর্ড গড়ার ফাইনাল মিশন। যা আগে কেউ করেনি, হয়ত কেউ কখনো চিন্তাই করেনি মোটরসাইকেল নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা। ডিসিশন ফাইনাল, টাইম ফিক্সড, মিশন লকড। রিপোর্ট টাইম দেওয়া হলো ভোর ৭টা।

মিশন প্রজেক্ট সেন্টমার্টিন দ্বীপ
খুব ভোরে সবার ঘুম ভাঙল, হোটেল থেকে দেওয়া নাস্তা খেয়েই আমাদের যাত্রা শুরুর কথা। রওয়ানা হওয়ার সময় খেয়াল করলাম আমাদের টিম মেম্বার তুহিন সেখানে উপস্থিত নেই, ওকে ওর রুমে গিয়ে ডাক দিতেই শুনতে পাই ‘ভাইয়া আমি সেন্টমার্টিন যাবো না, আমি পানি ভয় পাই’।

খেয়াল করে দেখলাম, ছেলেটা সি-বিচেও যায়নি, এ শুধুই বাইক চালানোর জন্য এসেছে। যাহোক কিছুটা সুবিধাও হলো, তার কাছে আমাদের মালামাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে মোটরবাইক স্টার্ট করি ৯ জন। ‘টার্গেট সেন্টমার্টিন অ্যান্ড রিটার্ন বাই ইভনিং’।

রুট হিসেবে সিলেক্ট করি কক্সবাজার থেকে সাগরের পার ঘেঁষে মেরিনড্রাইভ ধরে ইনানী গর্জন বাগান হয়ে টেকনাফ থেকে শাহ্‌পরীর দ্বীপ দিয়ে সেন্টমার্টিন। প্ল্যান মোতাবেক আমরা রওনা হই সেন্টমার্টিনের পথে মেরিনড্রাইভ হয়ে। রেসিং ট্রাকের মতো আকাঁবাকাঁ ঢেউ আর হঠাৎ কালভার্ট আবার কোথাও রাস্তার ওপরেই গর্জন গাছ নিয়ে বেশ উপভোগ করার মতো রাস্তা। সম্পূর্ণ মেরিনড্রাইভ বেশ উপভোগ করলাম আমরা। কিন্তু এর পরই ময়লা আর আবর্জনায় ঘেরা টেকনাফ শহরের ভেতর দিয়ে চলে গেলাম শাহপরীর দ্বিপের রাস্তায়। এখানেই শুরু চ্যালেঞ্জ!

টেকনাফ থেকে প্রায় ৮ কি.মি. মোটরসাইকেল চালানোর পর লবণ ক্ষেত’র রাস্তায় গিয়ে দেখি সবই ঠিক আছে কিন্তু যেখানে রাস্তা থাকার কথা ঠিক সেখানেই ফাঁকা খোলা মাঠ। চোখ আকাশে উঠলো, মাথায় বাজ পরল, বুঝে উঠতে পারছিলাম না ঠিক কি করব। তাৎক্ষণিক সেখানেই মোটোরসাইকেল ঘুরিয়ে কাছেই এক বাজারে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি শাহ্‌পরীর জেটিতে যাবার কোনো বিকল্প রাস্তা আছে কিনা?

সবাই খুব অবাক ভীত ও সংকীর্ণ, স্থানীয়দের মতে আমাদের ব্যাবহার করা মোটরসাইকেল নিয়ে ওই রাস্তায় যাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তার পরেও আমরা সবাই আমাদের লক্ষ্যে যাবার জন্য প্রস্তুত, আমাদের ট্রলারের সারেং ইসমাইলও শাহপরীর দ্বীপে হাজির। তখনও জানি না কীভাবে শাহপরীর দ্বীপের জেটিতে যাবো।

ওই লোকের দেখানো রাস্তা দিয়ে যেতে যেতেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালো বিজিবি ৪২ ব্যাটালিয়ান, আর আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে তারা আমাদের এই যাত্রা সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত ছিলেন কক্সবাজারের এসপি সাহেবের মাধ্যমে। এজন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশ, কক্সবাজার পুলিশ ও ৪২ বিজিবিকে ধন্যবাদ।

সেখান থেকে উপস্থিত কোম্পানি কমান্ডার আমাদের মাটির রাস্তা দেখান। সাথে এটাও বলে দেন, এই রাস্তায় মোটরবাইক নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। কোনো বাধাই যেন মানার নয়, কোনো ভয়-ই যেন পাওয়ার নয়, এ যেন পাওয়ার অফ ফ্রিডম।

দেখানো রাস্তায় চলা শুরু করে বুঝলাম আমাদের বাইকের চাকা এই মাটির রাস্তার জন্য পারফেক্ট নয়, তাও চলে যাচ্ছি বেশ যুদ্ধ করেই। রাস্তায় জাহিদ ভাই নামাজের ব্রেক নিলেন, আর আমি কিছুটা সামনে গিয়ে আরও বিস্মিত হই আর দেখি সেখানেই রাস্তা শেষ, যাবার আর কোনো রাস্তাই নেই, আর যে জায়গাটায় বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি সেই জায়গার নাম ‘জাইল্লা পাড়া’। নতুন রাস্তা বানানোর জন্য মাটি কেটে পাহার গড়েছে সেখানকার ঠিকাদার।

এক জেলেকে রাস্তার কথা জিজ্ঞেস করতেই সে যে পথা দেখালো তা দেখেই গায়ের লোম শিউড়ে উঠলো। কিন্তু মন তো আর মানে না, মানার কথাও না, ঘড়িতে তখন ১২টারও বেশি বাজে। কখন যাবো সেন্টমারটিন আর কখনই বা ফিরে আসবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।  

জেলের দেখানো রাস্তায় মানুষের বাড়ির ভেতর দিয়ে বালুর বস্তার ওপর দিয়ে লাফ দিয়েই দেখি সোজা নাফ নদীর তীরে, মনে মনে ভাবলাম সব রাস্তায় চালানো হলো আর এই পথই শুধু বাকি ছিলো, অচেনা রাস্তায় ও নতুন অভিজ্ঞতায় যুক্ত হলো নদীর পাড়। অনেক পিচ্ছিল পাড় দিয়ে উঠলাম সাইক্লোন সেন্টারে। সেন্টারি উঠেই খুঁজে পেলাম জেটিতে যাবার রাস্তা। আর দূর থেকে দেখতে পাচ্ছিলাম সেই অপেক্ষমান ইসমাইল সাহেবকে।

বেশ স্বস্তির শ্বাস ছেড়ে মোটরবাইক নিয়ে ছুটে গেলাম জেটির শেষ প্রান্তে আর দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে ইসমাইলকে বললাম বাইকগুলোকে ট্রলারে লোড করতে। আমাদের আয়রনম্যান নাইম আর  ইসমাইল তার দুই সঙ্গীকে সাথে নিয়ে একে একে ৯টা মোটরবাইক লোড করলো, আর এটাই ছিলো ইসমাইলের ২৯ বছরের মাঝি জীবনে প্রথম মোটোরসাইকেল লোডিংয়ের ঘটনা।

অবশেষে সেন্টমার্টিনে পৌঁছলাম আমরা। সারাদিন ঘুরে , সেখানে গিয়েও বাইক চালিয়ে ফিরতি পথ ধরলাম, পেছনে ফেলে এলাম আমাদের পদচিহ্ন।

প্রিয় পাঠক, ভ্রমণ যাদের নেশা, বেড়ানোর সুযোগ এলে যারা উড়িয়ে দেন সব বাধা, কাজের অংশ হিসেবে যারা ভ্রমণ করেন কিংবা যাদের কালেভদ্রে সুযোগ হয় ভ্রমণের তারা সবাই হতে পারেন ট্রাভেলার্স নোটবুক’র লেখক। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন বাংলানিউজের পাঠকদের সঙ্গে। আর ‘ট্রাভেলার্স নোটবুক’র সেরা লেখকের জন্য তো থাকছেই বিশেষ আকর্ষণ..

আর একটা কথা লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেনই না, সেই সঙ্গে বাতলে দিন সেখানে যাওয়ার পথঘাটের বিবরণও।  

আপনার ভ্রমণ আনন্দ বিশ্বজুড়ে বাঙালির কাছে ছড়িয়ে দিতে আমাদের ই-মেইল করুন- [email protected] এই ঠিকানায়।

বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।