ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য ভাড়া করা বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ আনতে সংস্থার চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদসহ লটবহর গিয়েছিল মিশর সফরে। প্রয়োজন নেই তবু বিশাল একটি বহর ভাড়ার উড়োজাহাজ আনার নামে প্রমোদ ভ্রমণ করেছেন বলেই অভিযোগ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগেও বোয়িং থেকে কেনা বিমানের চারটি ৭৭৭ উড়োজাহাজ আনতে জামাল উদ্দিন আহমেদ, বিমানমন্ত্রী, পরিচালনা পর্ষদ সদস্যসহ বিশাল বহর নিয়ে চারবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, এই লটবহরে বিমানের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন ইশরাত, ভারপ্রাপ্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরীসহ ১৫ জনের একটি বহর গিয়েছিল মিশরে। এর মধ্যে দেবেশ চৌধুরীসহ প্রকৌশলীদের একটি দল মিশরে এক মাস অবস্থান করে। প্রকৌশলীরা ভাড়ার উড়োজাহাজের ফিটনেস যাচাই করবেন। তাদের ইতিবাচক রিপোর্টের ভিত্তিতেই এটি নেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ।
লট বহরের অন্য সদস্যরা হলেন-চিফ ইঞ্জিনিয়ার (প্রডাকশন) এসএ সিদ্দিক, অশোক কুমার সরদার, মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার হীরালাল চক্রবর্তী, লুৎফর রহমান, প্লানিং ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হোসেন। এর বাইরেও বৈমানিকসহ কয়েকটি বিভাগ থেকে গিয়েছেন আরও কয়েকজন।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, মিশর থেকে জামাল উদ্দিন আহমেদসহ বিশাল বহর মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। জামাল উদ্দিন আহমেদ পাঁচ দিন আগে মিশরে গিয়েছেন। দেবেশ চৌধুরী উড়োজাহাজের প্রি-ফিটনেস দেখতে গত এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে মিশরে যান। ১০ দিনের কথা বলে তিনি বিদেশে গেলে প্রায় একমাস ধরে তিনি মিশরে অবস্থান করেন। এর আগে, মিশর থেকে আরেকটি বোয়িং ৭৭৭ আনতেও দেবেশ মিশরে গিয়েছিলেন। এই দীর্ঘ সফরকালে প্রকৌশলীদের প্রত্যেকের হোটেলে থাকা খাওয়াসহ প্রতিদিনের জন্য ভাতা দিতে হয় বিমানকে।
বিমানের এক প্রকৌশলী বাংলানিউজকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রধান প্রকৌশলী দেবেশ চৌধুরীকে ছাড়া যদি এক মাস একটি প্রতিষ্ঠান চলে তাহলে তাকে রাখার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা এ ব্যাপারে প্রশ্ন ওঠে।
তাছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যক্তি কীভাবে একমাস বিদেশে কাটাতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ বিমানেই।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৪