ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

সিএজি কার্যালয়ের প্রতিবেদন

বিমানে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ, নেই ন্যূনতম যোগ্যতাও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪
বিমানে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ, নেই ন্যূনতম যোগ্যতাও

ঢাকা: বিমানের পদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পুরনো। এবার কর্মচারী নিয়োগে মহা কেলেঙ্কারির ঘটনা ধরা পড়েছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত কমিটিতে।

বিশেষ সুবিধা নিয়ে নিয়োগ দিতে গিয়ে নিয়মানুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি তো দেয়া হয়নি, সংশ্লিষ্ট পদের জন্য যে যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন তার ন্যূনতম যোগ্যতাও নেই অনেকের। একেবারে অক্ষরজ্ঞানহীন লোকদেরও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
 
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ২০০৮-০৯ সালের হিসাব সম্পর্কিত মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।
 
কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, মঈন উদ্দীন খান বাদল, এ, কে, এম, মাঈদুল ইসলাম, মো. রুস্তম আলী ফরাজী এবং ওয়াসিকা আয়েশা খান অংশ নেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
 
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ৪টি প্রতিষ্ঠানের ২০০৮-০৯ সালের হিসাব সম্পর্কিত মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বার্ষিক অডিট রিপোর্টের অডিট আপত্তি বিষয়ে আলোচনা হয়।

এসময় বৈঠকে জানানো হয় যে, নিরীক্ষাকালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও বিমানে অনিয়মিতভাবে কর্মচারী নিয়োগ প্রদানের ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে। এ নিয়ে বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন কমিটির সদস্যরা। তারা এ বিষয়ে তদন্ত করে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের সুপারিশ করেন।
 
প্রতিবেদনে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে (২০০৭ সাল) স্বেচ্ছা অবসর স্কিমের বিষয়টিও ওঠে আসে। সেখানে বলা হয়, স্বেচ্ছা অবসর স্কিমের আওতায় ওই সময়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী বিমানের অনুমোদিত জনবল ৬ হাজার ৮৩৭ থেকে ৩ হাজার ৪০০ তে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু জনবল কমে যাওয়ায় অপারেশনাল কার্যক্রম অচল হওয়ার আশঙ্কায় লোকবল নির্দিষ্ট সংখ্যায় না কমানোর ফলে প্রায় ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। কমিটি লাভজনকভাবে বিমান পরিচালনা করার লক্ষ্যে অনধিক তিন মাসের মধ্যে বিমানে প্রয়োজনীয় লোকবলের সংখ্যা নির্ণয় করে জনবলের সংখ্যা যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার সুপারিশ করে।

এছাড়া বৈঠকে ইঞ্জিনবিহীন এয়ার ক্রাফট (এয়ার ফ্রেম) ক্রয় করে হ্যাংগারে ফেলে রেখে বীমা প্রিমিয়াম পরিশোধ করায় প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ কোটি ২১ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তি উত্থাপন করা হয়। কমিটি এই ক্ষতির দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করে অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের সুপারিশ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।