ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে বেছে নিতে পারেন

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৭
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে বেছে নিতে পারেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে উঠছেন যাত্রীরা। ছবি: বাংলানিউজ

ব্যাংকক থেকে: বিদেশ ভ্রমণে ভাষাগত কারণে যারা বিপাকে পড়েন অথবা খাবার নিয়ে রয়েছে যাদের নানানরকম ম্যানিয়া, এমন বাঙালিরা নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে।

বিফ ভুনা মুখে পুরে দিতে দিতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স সম্পর্কে এমন মন্তব্য করলেন ব্যবাসায়ী হেলাল মিয়া। সপরিবারে যাত্রী হয়েছেন ঢাকা টু ব্যাংককগামী  ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ ফ্লাইটে।

আরও বেশ কয়েক দফায় থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন তিনি। সেবা নিয়েছেন বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের। কিন্তু ইউএস-বাংলাকে নানা কারণে সবার প্রথমে রাখছেন এই ব্যবসায়ী।

তিনি বলেন, থাই এয়ারওয়েজে ভ্রমণ করেছি, সেখানে যে খাবার দেয় সেগুলো মুখে দেওয়া যায় না। কেমন যেনো একটা গন্ধ, মুখে রোচে না। অনেকেই দেখি খেতে পারেন না। আর ইউএস-বাংলার খাবারে শতভাগ বাঙালিয়ানা।
ইউএস-বাংলা এয়ারের খাবারে মুগ্ধ ভ্রমণকারীরা/ ছবি: আসিফ আজিজ‘বিফ ভুনা তো জোশ!’ পাশ থেকে আরেকজন যাত্রী যিনি চিকেনের স্বাদ নিচ্ছিলেন টিপ্পনি কেটে বললেন, ‘চিকেনের স্বাদ না নিয়ে ভুল করলে’। আবার শুরু করলেন হেলাল মিয়া, ‘ঘন ডালটার টেস্ট দেখেছেন? কি চমৎকার! সাদা ভাতটাও দারুণ। ’

সঙ্গে দেওয়া সতেজ সালাদ এবং খিরের প্রশংসা করতে ভুললেন না। পাশের যাত্রী ছোট্ট প্যাকেট হাতে নিয়ে বললেন, ‘দেখেন লবণের প্যাকেট। কতটুকু হবে, সর্বোচ্চ ১০ গ্রাম। যাদের কাচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের দিকেও নজর আছে। আবার খাবারে লবণ কম হলেও মাখিয়ে নেওয়া যাবে, দারুণ না ব্যাপারটা!’

শুধু খাবার নয়, যারা থাই ভাষা জানেন না আবার ইংরেজিও ভালো বলতে পারেন না তাদের জন্যও ইউএস-বাংলা প্রথম পছন্দ হতে পারে। কারণ অ্যারাইভাল কার্ড পূরণ থেকে থাই সফরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো খুব সহজেই আয়ত্ত করা যায় ইউএস-বাংলায় ভ্রমণে। কেবিন ক্রুদের সেবাও উল্লেখ করার মতো। হাসিমুখে সবার সব জিজ্ঞাসা পূরণ করছেন। যাত্রীরা যেনো তাদের আত্মীয়।

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধমান এই এয়ারলাইন্সটি কয়েক মাস আগে ব্যাংকক রুটে যাত্রা শুরু করেছে। সপ্তাহে শনি, সোম ও বুধবার ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। নতুন এই রুটে এরই মধ্যে যাত্রীদের আস্থা অর্জন করতে শুরু করেছে, যার অন্যতম উদাহরণ হেলাল মিয়া। অন্যান্য এয়ারলাইন্স বাদ দিয়ে ইউএস-বাংলাকে বেছে নিয়েছেন। হেলাল মিয়ার মতো আরও অনেকে ইউএস-বাংলার সঙ্গে পথচলা শুরু করেছেন।
ইউএস-বাংলার কেবিন ক্রুদের সেবায় সন্তুষ্ট যাত্রীরা/ ছবি: ডিএইচ বাদলঅন-টাইমে ফ্লাইট পরিচালনা করে রেকর্ড করেছে ইউএস-বাংলা। বাংলাদেশের শীর্ষে থাকা ইউএস-বাংলা গ্রুপ তাদের কমিটমেন্ট ধরে রেখেছে ব্যাংকক রুটেও। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে যাত্রা করার কথা থাকলেও কয়েক মিনিট আগেই চাকা গড়াতে শুরু করে। এয়ারলাইন্সটি সব ফ্লাইট পরিচালনা করছে অন-টাইমে। আবার টিকিটের মূল্যও অন্যদের তুলনায় সাশ্রয়ী। রিটার্ন টিকিট শুরু হয়েছে ২১ হাজার টাকা থেকে। এছাড়াও রয়েছে নানারকম অফার।

নির্ধারিত সময়েই সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করলো প্লেনটি। ইমিগ্রেশন শেষ করে কনভেয়ার বেল্টের কাছে পৌঁছাতেই দেখলাম লাগেজ চক্কর দিচ্ছে। ঝকঝকে বিশাল এয়ারপোর্টটিতে নানান বর্ণের নানার চেহারার মানুষের সমাগম।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ইউএস-বাংলা গ্রুপের একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশের শীর্ষ বেসরকারি এই এয়ালাইন্সটি ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই সর্ব প্রথম দুটি উড়োজাহাজ দিয়ে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৭
এসআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।