ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

পাইলটের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিরাপদে অবতরণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৮
পাইলটের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিরাপদে অবতরণ সংবাদ সম্মেলনে সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ/ছবি- শাকিল আহমেদ

ঢাকা: নোজ ল্যান্ডিং গিয়ার সমস্যার কারণে গত ২৬ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ৭৩৭-৮০০ বোয়িংটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (০৩ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ।  

তিনি বলেন, প্লেন আকাশে উড্ডয়নের আগে ৩ ধাপে পরীক্ষা করা হয়।

প্রকৌশলীদের ছাড়পত্রের পরেই পাইলট প্লেন উড্ডয়নের সক্ষমতা পুনরায় চেক করেন। চেক-ক্রসিংয়ের পরেই একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের অনুমতি পায়। এই পরীক্ষাগুলো এতো নিখুঁতভাবে করা হয় যে, এখানে চাইলেও ভুল করার সুযোগ নেই।

ইমরান আসিফ বলেন, কোনো পাইলট ক্রুটিযুক্ত প্লেন নিয়ে আকাশে উড়তে চাইবেন না। সবারই জীবনের মায়া আছে। তিনি জেনেশুনে এতোগুলো মানুষের প্রাণহানী করতে চাইবেন? 

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে দেশের এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলোর মধ্যে সর্বাধিক বিদেশি ও দেশি প্রকৌশলী রয়েছেন জানিয়ে প্রধান নির্বাহী বলেন, বিশ্বের খ্যাতনামা প্লেনগুলোতেও নোজ ল্যান্ডিং গিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এটা নিছক একটা অঘটন। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই এ ঘটনাগুলো ঘটে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের নীতিমালা মেনেই এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো পরিচালিত হয়। কেউ চাইলেই ব্যতিক্রম কিছু করা সম্ভব নয়।  

তিনি বলেন, প্লেনগুলোর মেরামতে বিশ্বের কয়েকটি নির্দিষ্ট কারখানায় কাজ করাতে হয়। এটা চাইলেই যেকোনো জায়গায় করানো সম্ভব নয়।

পাইলটের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা, বিমানবন্দর ও সিভিল এভিয়েশনের সহযোগিতার কারণে ফ্লাইটটি সেদিন নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয় জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। সিভিল এভিয়েশন ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা তদন্ত করবেন। এতে খানিকটা সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।

ফ্লাইটের পাইলট ক্যাপ্টেন জাকারিয়া সবুজ সেই মুহূর্তের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, তখন একটা চিন্তাই মাথায় ছিল কীভাবে প্লেন নিরাপদে ল্যান্ডিং করা যায়। তখন একটি টিমওয়ার্ক ও ২৩ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ফুয়েল কমানোর সিদ্ধান্ত নেই। ফুয়েল কমানোর জন্য আকাশে অনেকবার উড়তে হয়েছে। ফুয়েল কমলে আল্লাহর রহমতে প্লেনটি নিরাপদে ল্যান্ডিং করি।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার সাঈদ বিন রউফ, এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম, সাবেক উইং কমান্ডার মো. হাসান মাসুদ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
টিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।