ঢাকা: সংখ্যালঘু প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
শুক্রবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে বসে থাকবেন এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব রক্ষাই জাতির অস্তিত্ব রক্ষা। তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে আমি নিরাপদ থাকবো, এটা হতে পারে না। ’
সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্যাদন বন্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্বের কিছু সংকট থাকে। বৃটেন, ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও আমি এ সংকট দেখেছি। ’
বৃটেনে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওইসব জায়গায় বর্ণবাদী নির্যাতন রয়েছে। আমিও বর্ণবাদীদের দ্বারা দুইবার আক্রান্ত হয়েছিলাম।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে- সকল মানুষের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ঘর-বাড়ি উচ্ছেদ করে দেওয়া কোনো সভ্যতার অংশ হতে পারে না। এটা প্রতিরোধ করতে হবে। ’
‘পাকিস্তান আমলে আমরাও পাকিস্তানের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক ছিলাম। একই জাতি হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিম পাকিস্তানের মুসলমানরা পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানদের নির্যাতন করেছে,’ বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘পচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছিলো। ওই সময় তারা ভেবেছিলো সব শেষ।
‘কিন্তু আজ দেখছে শেষ হয়েও শেষ হলো না। এরপরও যখন সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবর পাই, আমরা কষ্ট পাই। ’
পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আর স্বাগত দেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব তাপস কুমার পাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৬, আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা
এসকে/এমএ/বিএস