গাজীপুর: গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগী খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় বিএনপি নেতা কামরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (১৫ মে) দিনগত রাত ১১টার দিকে টঙ্গী থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত শরিফ হোসেনের মা ইয়ানুর বেগম।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর রোববার দুপুরে টঙ্গী থেকে সন্দেহভাজন মো. অপু, মো. সোহেল ও আরিফ হোসেন নামের তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
টঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, রোববার রাতে নিহত শরীফের মা ইয়ানুর বেগম টঙ্গী থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এতে বিএনপি নেতা কামরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১২ জনকে নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তার ছেলে শরীফ হোসেন ও সহযোগী জুম্মনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম কামু গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল নিহত শরীফের। এ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে হত্যায় জড়িত সন্দেহে মো. সোহেল, অপু ও আরিফ হোসেন নামে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার দিনগত রাতে টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকায় আলাউদ্দিনের ছেলে শরীফ হোসেন ও একই এলাকার হারুন খানের ছেলে জুম্মন মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রোববার সকালে পুলিশ মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নিহত শরীফ হোসেন স্থানীয় শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের ৪৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। আর নিহত জুম্মন ছিলেন শরীফের সহযোগী। জুম্মন স্থানীয় একটি টুপি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৬
জেডএস