ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরে না এলে দেশ অন্ধকারে থাকতো বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার রোল মডেল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা যদি দেশে ফিরে না আসতেন, তিনি যদি রাজনীতিতে না আসতেন, তাহলে বাংলাদেশ অন্ধকারে নিপতিত হতো। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল দুর্যোগ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশ সফরে থেকেও বর্তমানে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ‘রোয়ানু’ মোকাবেলা সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে ক্ষয়ক্ষতি সফলভাবে এড়ানো গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে দুর্যোগ মোকাবেলার রোল মডেল।
শনিবার (২১ মে) শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগের আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের দেশে দুর্যোগ বার বার আসে। কিন্তু বিষয় হলো, খালেদা জিয়া কিভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করেন আর শেখ হাসিনা কিভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করেন। শেখ হাসিনা বিদেশে থেকেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখেন এবং দিক-নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন ঘূর্ণিঝড়ে এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিলেন। কোনো প্রস্তুতি না থাকায় ওই দুর্যোগ মোকাবেলায় খালেদা জিয়ার সরকার নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়। ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনার সরকারের সময় সারা দেশে ভয়াবহ বন্যা হয়। তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া বলেছিলেন, বন্যায় ৩০ লাখ মানুষ মারা যাবেন। কিন্তু একজনও মারা যাননি। শেখ হাসিনা সফলভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করেছিলেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুলগেরিয়া থেকেও সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রেখেছেন, সমস্ত দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য সরকারি ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে ও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য চাল এবং অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপ এবং প্রস্তুতির কারণেই এই দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব হয়েছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ। আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৬
এসকে/এএসআর