যশোর: যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে বোমাহামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের ৯ নেতাকর্মীসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০১ জুন) কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি-তদন্ত) শ্যামলাল নাথ এ চার্জশিট দাখিল করেন।
যশোর আদালত পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল হোসেন বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, শহরের পুরাতন কসবা মিশনপাড়ার মৃত আমিন কাজীর ছেলে কাজী আমিরুল ইসলাম আবির, যশোর এমএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও শার্শা উপজেলার নৈহাটি গ্রামের শাহাজাহান মিয়াজীর ছেলে রাশেদ মিয়াজী, এমএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রেলগেট পশ্চিমপাড়ার শহিদুল ইসলাম বাবুর ছেলে রফিক, এমএম কলেজ শাখার ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ওবাইদুল বাসারের ছেলে তিতাস মিয়া, সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুল খালেক গাজীর ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী গাজী হাসান, বেনাপোলের কাগজপুকুর গ্রামের মৃত মোসলেম সরদারের ছেলে সুমন হোসেন, খুলনার আড়ংঘাটা থানার রংপুর কালিঘাট গ্রামের মৃত বিনয় সরকারের ছেলে মিঠুন সরকার, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ডালডাঙ্গা গ্রামের ঘোরই চাঁদ শেখের ছেলে আল মামুন শেখ আকাশ, কচুয়াপোতা গ্রামের হাবিবুর রহমান মন্ডলের ছেলে জাফর আহম্মেদ মন্ডল, কোটচাঁদপুর উপজেলার মানিকদিহি গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মাজেদুল ইসলাম শাহিন ও মাগুরার শালিখা উপজেলার নাঘোষা গ্রামের করিম বিশ্বাসের ছেলে মহিদুল ইসলাম।
আদালত সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে (২০ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে) যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এমএম কলেজ শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান। এ সময় কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৬
এসআর