ঢাকা: সরকারবিরোধী ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্ন কারণে সংঘটিত সহিংসতাকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। সরকারকে বিব্রত করার কৌশল হিসেবে এটা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হানিফ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সহিংসতা কিন্তু জিয়াউর রহমানের সরকারসহ অন্যান্য সরকারের সময়েও হয়েছে। এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সবগুলো সহিংসতাই কিন্তু রাজনৈতিক নয়। এগুলো পারিবারিক, ব্যক্তিগতসহ বিভিন্ন কারণে সংঘটিত হয়েছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। তারপরও তাদের মৃত্যু নির্বাচনী সহিংসতায় জড়িয়ে ফেলে সংখ্যা বৃদ্ধি করার চেষ্টা হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিক সহিংস কর্মকাণ্ড।
রোববার (০৫ জুন) বিকেলে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলির সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন হানিফ। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হানিফ আরও বলেন, অনেকেই ইউপি নির্বাচনে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি করে সরকারকে বিব্রত করার কৌশল হিসেবে এটাকে গ্রহণ করার কথা ভাবছেন। বিএনপি শুধুমাত্র সরকারের উপর এ দায় চাপিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। কিন্তু এ সহিংসতার ঘটনাগুলো বিএনপির ধারাবাহিক সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ।
কারণ বিএনপি-জামায়াত ২০১৩ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত সরকার উৎখাতের নামে যে ধরনের নৈরাজ্য করেছে, এগুলোর প্রতিফলনেই ইউপি নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন সহিংসতা হয়েছে। বিএনপি শুরু থেকেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পথ বেছে নিয়েছে।
বিএনপি যদি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতো তাহলে এ ধরনের সহিংস ঘটনা কমে যেতো। এখন নির্বাচনের সহিংসতা নিয়ে বিএনপির কথা বলার নৈতিক অধিকার নেই।
চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, এ হত্যাকাণ্ডও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে যারা চক্রান্ত করে আসছে, সে ধারাবাহিকতার চক্রান্তেই তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা, বদিউজ্জামান ভুঁইয়া ডাবলু, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৬
এসকে/জেডএস