ঢাকা: দেশের পরিস্থিতি অশান্ত করতে বিএনপি-জামায়াত গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতারা।
বুধবার (২২ জুন) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এ অভিযোগ করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সবক্ষেত্রে হেরে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিশ্বের সামনে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন যে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক দেশ। তারা (গুপ্তহত্যাকারীরা) মানুষ নয়। তারা মানুষ হলে এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারতো না। বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ নিয়ে যখন ইতিবাচক কথা চলছে, তখন পরিস্থিতি অশান্ত করে তুলতেই একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বেছে বেছে নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। একাত্তরের ঘাতকদের বিচার যারা চায়নি তারাই এসব করছে। তাদের গ্রেফতার শুরু হয়েছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র শেষ করে দেওয়া হবে।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, দু’টি কারণে গুপ্তহত্যা হচ্ছে। রাজাকারদের বিচার কাজ বন্ধ করতে এবং পাকিস্তানের প্রেতাত্মা খালেদা জিয়ার ক্ষমতার লোভের কারণে। খালেদা জিয়া ২০১২ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে আন্দোলন করেছেন। ২০১৩ সালে মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা এতো সহজ নয়। কারণ জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছে। এখন যখন সাঁড়াশি অভিযান চলছে, তখন আবার তারা জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে আত্মঘাতী হামলা শুরু করেছে। নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। ১৯৭১ সালের মতো শত্রুকে চিহ্নিত করে লড়াই করে জিততে হবে। জাতীয় জাগরণের মধ্য দিয়ে এসব কিছুর মোকাবেলা করতে হবে।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একটি মহল শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার জন্য নানা ষড়ডন্ত্র করছে। আমরা কোনো দেশে উদ্বাস্তু হিসেবে যেতে চাই না। এ দেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৬
ইউএম/এইচএ/