নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা করে অস্ত্র লুটের ঘটনায় ছাত্রলীগ নামধারী ক্যাডার খান মাসুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০২ জুলাই) সকালে বন্দর এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, ৩০ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকেলে একটি বেসরকারি বাল্কহেড মেরামত ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি ও সশস্ত্র হামলা করায় মাসুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানের মালিক।
মামলার উল্লেখ করা হয়, হামলায় ব্যাপক ভাঙচুর, ৯ বছরের একটি শিশু গুলিবিদ্ধসহ আরো চারজন আহত হয়।
হামলার শিকার প্রতিষ্ঠানের মালিক আবুল কালাম বাসু বাদী হয়ে শুক্রবার (০১ জুলাই) বন্দর থানায় খান মাসুদকে প্রধান আসামি করে আরো ১১জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
যাদের বিরুদ্ধে মামলায় দায়ের করা হয়েছে তারা হলেন- খান মাসুদ, লিটন খান, সবুজ, নাদিম, মাসুদ ওরফে ছোট মাসুদ, রুবেল, অভি, রাজু, পারভেজ, জাহাঙ্গীর ও হানিফ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আবুল কালাম বাসু মিয়ার কাছে বেশ কিছুদিন থেকে আসামিরা ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে খান মাসুদ ও তার সহযোগিরা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে ফের ৩০ লাখ টাকা দাবি করে। মালিক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে খান মাসুদ গং তাকে ব্যাপক মারধর করে জখম করে, আসবাবপত্র ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে এবং অফিসের ড্রয়ারে রক্ষিত নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে আহত বাসু মিয়ার চিৎকারে আশ পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছোটে আসেন। এ সময় তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
শনিবার সকালে বাল্কহেড মেরামত ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সামনে খান মাসুদের লোকজন পাল্টা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অখিল চন্দ্র বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয়ে হামলা ও একটি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়।
বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসানউল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, পুলিশের অস্ত্রটি উদ্ধারে অভিযান চলছে। এ ছাড়া খান মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৬
জিসিপি/বিএস