ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘জামায়াত-শিবির দেশে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৬
‘জামায়াত-শিবির দেশে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাগেরহাট: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, ‘আইএস, আলকায়দা ও তালেবান নামে কোনো জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশে নেই। জামায়াত-শিবির আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম ব্যবহার করে দেশে একের পর এর জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে।

বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের আহ্বান শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করতে হলে জামায়াত-শিবির নির্মূল করতে হবে মন্তব্য করে হানিফ বলেন, ‘রাজধানী গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে পুরোহিত এবং ধর্ম যাজকসহ সব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের প্রায় প্রত্যেকেই জামায়াতের সহযোগী সংগঠন ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মী। ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল জামায়াত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম দিয়ে দেশে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে। ’

তিনি আরও বলেন, দেশে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে জামায়াত এখন আদালতের কাঠগড়ায়। জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে বিচারের রায়ে দণ্ড ভোগ করছেন এবং আরও অনেক শীর্ষ নেতার মামলা এখনও বিচারাধীন। এদের বিচার শেষ হওয়ার পরপর যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়তের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হবে।

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নিয়ে গোটাবিশ্ব শঙ্কিত। মুসলমান হিসেবে আমরা লজ্জিত ও দু:খিত। মুসলমানদের দিয়ে মুসলমানদের ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। হত্যার দায়ভার মুসলিমদের ওপর চাপানো হচ্ছে।

কর্মশালায় তিনি জামায়াত-শিবিরের জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করতে আলেম সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজমুল হকের সভাপতিত্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কর্মশালায় অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মো. হারুণ অর রশিদ প্রমুখ।

ইসলামী ফাউন্ডেশন বাগেরহাট আয়োজিত এই কর্মশালায় জেলার ৯ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয় শতাধিক খতিব, ইমাম ও শিক্ষক অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৬
পিসি/ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।