খুলনা: খুলনা মেডিকেল কলেজে (খুমেক) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের মহানগর নেতারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার পর কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থী ও পুলিশ জানায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সাইফুল্লাহ মানসুর গ্রুপের কয়েকজন কর্মী কলেজের ক্যান্টিনে গেলে সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান টিটু-ওবায়দুর রহমান গ্রুপের কর্মীরা তাদের মারপিট করেন। এ সময় সাইফুল্লাহ গ্রুপের এনামুল আকাশ, কামরুজ্জামান ও রাজিবিল্লাহসহ পাঁচজন আহত হন। তখন সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে দুপুর ১টার দিকে সাইফুল্লাহ গ্রুপের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা, রামদা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে টিটু-ওবায়দুর গ্রুপের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেন। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। কলেজ ক্যাম্পাসে ও হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে হামলা করে বেপরোয়া মারপিট ও দায়ের কোপে ফাহমিদ, সনৎ কুমার, প্রমোদ মণ্ডল, নাইম, জয় ও সাফায়েতসহ ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কলেজ ও হাসপাতাল ভবনের বিভিন্ন রুমের জানালা ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব এবং মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে এখনও কলেজ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে বাংলানিউজকে বলেন, সংঘর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের মহানগর সভাপতির মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৬
এমআরএম/এএটি/এইচএ/