ঢাকা: ‘উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার। এখন সময় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’ শীর্ষক স্লোগানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন।
সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য গঠিত উপ-কমিটিগুলো নিয়মিত সভা করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর সভা করে মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটি। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সভা। আর ২৯ সেপ্টেম্বর সভা করবে অভ্যর্থনা উপ-কমিটি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি কার্যক্রম চলছে। সেজন্য ব্যস্ত ও উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে এ কার্যালয়।
সম্মেলন প্রস্তুতির কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এই কার্যালয়ে নিয়মিত আসছেন। সকাল-বিকেল দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এখানে আসা-যাওয়া করছেন।
দলীয় পদ হারানোর আশঙ্কায় যারা রয়েছেন এবং যারা পদপ্রত্যাশী তারাও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তারা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন দলের সভাপতির আস্থাভাজন নেতাদের সঙ্গে।
আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের এ ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্ট নেতারা জানান, এই সম্মেলনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অতিথিসহ দলের ৩০ হাজারের মতো কাউন্সিলর ও ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের জেলা-উপজেলা শহরে সাজ্জসজ্জা করা হবে। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলনের ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলনের ভেন্যুকে দৃষ্টিনন্দন করতে গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নানা সাজে সাজানো হবে। সম্মেলনের মূল মঞ্চ হবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’ আকৃতির।
সম্মেলন উপলক্ষে জাঁকজমক করে সাজানো হবে রাজধানীকে। করা হবে আলোকসজ্জাও। ঢাকায় প্রবেশের সড়কগুলোর মুখে ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে তৈরি করা হবে সুসজ্জিত তোরণ। সম্মেলনের সাত দিন আগে থেকে রাজধানীতে এ সাজসজ্জা হবে। আর জেলা, উপজেলা শহরে ও দলীয় কার্যালয়ে সাজসজ্জা করা হবে তিন দিন আগে থেকে।
সম্মেলন উপলক্ষে ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট তৈরি করা হচ্ছে। সড়কে ব্যবস্থা করা হবে রঙিন ডিসপ্লের। এসব ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট ও ডিসপ্লেতে তুলে ধরা হবে আওয়ামী লীগের সুদীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য। পাশাপাশি তুলে ধরা হবে দলটির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও অর্জন।
এছাড়া তৈরি করা হচ্ছে প্রামাণ্যচিত্র। এতে সরকারের উন্নয়নের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের ধ্বাংসাত্মক কর্মকাণ্ডের চিত্রও তুলে ধরা হবে। প্রামাণ্যচিত্রের সিডি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
সারাদেশ থেকে সম্মেলনে আসা কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা সেবার জন্য সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম রাখা হবে। সম্মেলনে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দলের দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন।
সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে জনতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সম্মেলন প্রস্তুতি অর্থ উপ-কমিটির আহ্বায়ক কাজী জাফরুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, সম্মেলনের প্রস্তুতির কাজ এগিয়ে চলছে। বিভিন্ন উপ-কমিটি সভা করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওই সব খাতে কী পরিমাণ টাকা ব্যয় হবে তারও একটা খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। নেত্রী (সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) দেশে আসার পর আমরা তার সঙ্গে আলোচনা করে সব কিছু চূড়ান্ত করবো।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বাংলানিউজকে বলেন, একটা জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্মেলন হবে। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আগামী দিনের জন্য আওয়ামী লীগ আরও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হবে। সেভাবেই সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৬
এসকে/এইচএ/