ঢাকা: আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সম্মেলনের সার্বিক নিরাপাত্তা নিশ্চিত করতে আগে থেকেই সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্মেলনের ভেন্যু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আগামী ১ অক্টোবর থেকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। ওই দিন থেকেই সেখানে স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটি ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সম্মেলনের প্রস্তুতি উপলক্ষে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সভায় এ সব তথ্য জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সম্মেলনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি অতিথিরা থাকবেন। একটি শৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে পারলে সম্মেলন সার্থক হবে।
আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি অতিথিসহ ৩০ হাজারের মতো কাউন্সিলর ও ডেলিগেট এই সম্মেলনে অংশ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণে সম্মেলনের নিরাপত্তার দিকটাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
এজন্য সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির এ সভা আহ্বান করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এ উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম।
সভায় বাহাউদ্দিন নাছিম জানান, সম্মেলনের সার্বিক নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সম্মেলনের ভেন্যু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগে থেকেই নজরদারির মধ্যে আনা হবে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। ওই দিন থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটি ক্যাম্প স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলেও তিনি জানান।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সম্মেলনের দিন ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে বিভিন্ন জায়গায় অভ্যর্থনার ব্যবস্থা করা হবে। সেখানকার শৃঙ্খলা রক্ষা এবং কাউন্সিলর ডেলিগেটরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে সম্মেলনের ভেন্যুস্থলে আসতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। প্রবেশ পথগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় অন্যান্য যে সব উপ-কমিটি রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সদস্য ইকবালুর রহিম, আসলামুল হক আসলাম, বাহাদুর ব্যাপারি, ইসহাক আলী খান পান্না, মতিউর রহমান মতি, নির্মল রঞ্জন গুহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ২৩, ২০১৬
এসকে/এমজেএফ/