ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

২০১৬ সালে আ’লীগের বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো জঙ্গি মোকাবেলা

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
২০১৬ সালে আ’লীগের বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো জঙ্গি মোকাবেলা

ঢাকা: নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা এবং সফলতা-ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে আরো একটি বছর পার করলো আওয়ামী লীগ ও এই দলটির নেতৃত্বাধীন সরকার।

বছর জুড়ে জঙ্গি তৎপরতা মোকাবেলায় সরকারকে ব্যস্ত থাকতে হলেও ২০১৬ সালে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কোনো ধরণের আন্দোলনের তাপ-উত্তাপ সরকারকে স্পর্শ করতে পারেনি।

বছরের গোড়ার দিকে স্থানীয় সরকার স্তরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়।

এই নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয় সরকারকে। তবে বছরের শেষের দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয় সরকার। কোথাও কোথাও দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, যা সরকার ও সরকারি দলকে কখনও কখনও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে। তবে এ বছর সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো জঙ্গি হামলা মোকাবেলা।

এছাড়া চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের পরাজয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন: মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সারা দেশে ছয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটে। এতে দেড় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। সাম্প্রতিককালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে এটা সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা। এই সহিংস ঘটনাগুলোর অধিকাংশই ঘটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছিলো ছড়াছড়ি। আর এটাই ছিলো সহিংসতার অন্যতম কারণ। এই প্রাণহানির ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন।

চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর : গত ১৪ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ঢাকায় আসেন। চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফর সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য ছিলো একটি বড় ধরণের রাজনৈতিক সাফল্য। চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বে নিয়ে যেতে একমত হয় বাংলাদেশ ও চীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বৈঠকে এ বিষয়ে মতৈক্য হয়। বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় ২০১৭ সালকে বন্ধুত্বের বছর হিসেবে অভিহিত করা হয়। এ সময় চীনের সঙ্গে ১ লাখ ৭ হাজার ৪৪০ কোটি টাকার সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

আলোচনায় ছাত্রলীগ: অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও অপকর্মের কারণে বলতে গেলে বছর জুড়েই আলোচনায় ছিলো আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ কোথাও কোথাও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস কিছু দিনের জন্য বন্ধ হয়। রাজধানীর গুলিস্তানে ছাত্রলীগের দুই নেতা প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গুলি চালায়। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ছাত্রলীগের এক নেতা সিলেটে খাদিজা আকতার নার্গিস নামে এক ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করে। এই ঘটনা সারা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি ও নেতাদের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বাসা থেকে ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ২৫ ডিসেম্বর ছাত্র লীগের এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ সংগঠনের নেতাকর্মীদের শপথ করান। ওবায়দুল কাদেরের আহ্বানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হাত উপরে তুলে শপথ নেন, 'আমরা খারাপ খবরের শিরোনাম হব না, আমরা ইতিবাচক খবরের শিরোনাম হব।

গুলশানে জঙ্গি হামলা : রাজধানীর গুলশানের ডিপ্লোম্যাটিক জোনে হলি আর্টিজান নামে এক রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। গত ৩০ জুন সন্ধ্যা রাতে জঙ্গিরা ওই রেস্তোরাঁয় হামলার করে ২০ জন দেশী-বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে। জিম্মিদের উদ্ধার করতে গিয়ে ওই সময় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এর পর জঙ্গিরা ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থল রাতভর ঘিরে রাখে। পরদিন সকালে যৌথ বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় ৬ জঙ্গি। এ সময় ২০ জিম্মির লাশও উদ্ধার করা হয়। এই জঙ্গি হামলা ঘটনা দেশ-বিদেশে সকল বিবেকবান মানুষকে স্তম্ভিত করে। এর ৬ দিনের মথায় গত ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাতে জঙ্গি হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় দুই পুলিশসহ চারজন নিহত হয়। যাদের মধ্যে একজন হামলাকারী জঙ্গিও ছিলো।

জঙ্গি তৎপরতা মোকাবেলা: সারা বছর জুড়েই দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলা ও জঙ্গিবাদী তৎপরতা মোকাবেলায় সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। জঙ্গিরা পুরোহিত, ব্লগার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষকদের উপর হামলা চালিয়ে হত্যা করে। সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ স্বাধীনতার পক্ষের বিভিন্ন অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সর্বস্তরের মানুষকে সংগঠিত করে রাজপথে নামে। এদিকে গুলশানের ঘটনার পর জঙ্গি পরিস্থিতি ও তাদের শক্তি সম্পর্কে ধারণা পায় সরকার। জঙ্গি দমনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামানো হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে। দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি আস্থানায় একের পর এক অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। রাজধানীর কল্যাণপুর, মিরপুরের রূপনগর, আজিমপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশকোনাসহ বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। এ সব আস্তানায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের গ্রেফতার ও অস্ত্রশস্ত্র, বোমা উদ্ধার করা হয়। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সঙ্গে গুলিবিনিময়ে বেশ কিছু জঙ্গি নিহত হয়। জঙ্গিদের গুলিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যও নিহত হন।

আদালতের কাছে দুই মন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা: ৬ মার্চ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এক আলোচনায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির আদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর আপিল মামলা পুনঃশুনানির দাবি জানান। ওই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। একই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। পরে ৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগ তাঁদের তলব করে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কার্যক্রম শুরু করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন। পরে দুই মন্ত্রী আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ ঘটনায় দুই মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব থাকা না থাকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ওঠে।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন: এ বছর ২২ ও ২৩ অক্টোবর জাঁকজমক ও উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির(কার্যনির্বাহী সংসদ) নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। সম্মেলনের আগে থেকেই দলের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। বিশেষ করে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন এটাই ছিলো সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং দেশের রাজনৈতিক মহলে আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে আলোচনার প্রধান বিষয়। এ সম্মেলনে দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতার পদোন্নতি হয় এবং কয়েক জন নেতা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়েন।

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা: মাইকে ঘোষণা দিয়ে এবং সমাবেশ করে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয়। দফায় দফায় হামলা চলে হিন্দুদের বাড়িঘর ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উপর। বিষয়টি দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠে। এই ঘটনার সঙ্গে সরকারি দল আওয়ামী লীগের লোকজনেরও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। এই হামলা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। এ ঘটনায় বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় সরকারকে। অনুরূপ ঘটনা ঘটে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের উপর। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বছরের বিভিন্ন সময়।

 

মার্কিন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা : এই নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও নানা হিসাব-নিকাশ তৈরি হয়। এই নির্বাচনের ফলাফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব পড়ার আশা ও আশঙ্কায় দুটোই লক্ষ করা যায়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কি হবে তা এই নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে বলে কেউ কেউ ভাবতে শুরু করেন। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি বিজয়ী হলে আওয়ামী লীগ সরকার বেকায়দায় পড়বে বলে দলটির প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির প্রত্যাশা ছিলো। বিষয়টি নিয়ে একটা চাপা অস্বস্তিও ছিলো আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। তবে রিপাবলিকান প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় সেই জল্পনার অবসান ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন: রাজনৈতিকভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন হওয়ার পর সিটি করপোরেশন হিসেবে প্রথম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হয়। এই নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে দুই দিক থেকে লাভবান হয় আওয়ামী লীগ। প্রথমত এই নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যে সব চেয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে সরকার।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার সরকারের জনপ্রিয়তা নিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে যে প্রশ্ন তোলা হতো তা ভুল প্রমাণিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬

এসকে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।