সোমবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, নিয়মিত বৈঠক শেষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় সদ্য অনুষ্ঠিত ১৪ উপজেলা নির্বাচন এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে কথা ওঠে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী অনৈক্যের কারণে শুধু ঢাকা আইনজীবী সমিতি নয়, তিনটি উপজেলাতেও একই কারণে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন বলেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আমাদের নেতারাই আমাদের ভোটারদের বিভক্ত করে ফেলেছে। এ সময় তিনি একজন মন্ত্রীর উপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কোনো কোনো নেতা নির্বাচনের আগেই কোনো কোনো প্রার্থীকে বলেছেন, তুমি নির্বাচন করছো কেন, তুমি তো জিততে পারবে না, ভোট পাবে না। নেতাদের পরস্পরের মধ্যে কোন্দলের কারণেই আমাদের প্রার্থীরা হেরেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, এই একইভাবে তিনটি উপজেলাতে আমাদের প্রার্থী হেরেছে। আমাদের দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের লোকই প্রার্থী হয়েছিলো। যে বিজয়ী হয়েছে তার চেয়ে আমাদের দুই প্রার্থী মিলে বেশী ভোট পেয়েছে। অনৈক্যের কারণে দুই প্রার্থী হওয়ায় ভোট ভাগ হয়েছে। দলের নেতাদের মধ্যে ঐক্য না থাকার কারণেই এটা হয়েছে। ঐক্যবব্ধ না থাকলে কি হয় এই তিনটি উপজেলা তার প্রমাণ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২২ ও ২৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্বাচনে সবাই যাতে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন দলের আইনজীবী, মন্ত্রী ও নেতাদের।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নেতাকর্মীরা যাতে দলের প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবব্ধভাবে কাজ করে, সে বিষয়টি দেখা ও নিশ্চিত করতে কুমিল্লার দুইমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেনো কেউ না যায় সে দিকেও তিনি লক্ষ্য রাখতে বলেছেন।
সম্প্রতি ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২০টি পদেই পরাজিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল। এছাড়া ১৪টি উপজেলার ৩টিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে পরাজিত হয়েছে আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
এসকে/জেডএম