শনিবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে ছাত্রসংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা অনিক সরকারসহ ১২ জনকে আটক করে।
শাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রী নিবাস উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি সজীব হোসেন সবুজ ও তার সমর্থিত ছাত্রলীগের একাংশ কলেজে ছাত্রসংসদের নির্বাচন দাবি করে। মন্ত্রী অনুষ্ঠানে তাদের নির্বাচন দেওয়ার আশ্বাসও দেন।
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি সমর্থকরা মন্ত্রীর গাড়ি অবরোধ করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়ে মিছিল বের করে। এসময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভের পক্ষের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
পরে পুলিশ গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং পুলিশ প্রহরায় মন্ত্রীর গাড়ি এলাকা ত্যাগ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সৌরভ, পুলিশ পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
এ ঘটনার পর থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও ৠাব সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।
ছাত্রলীগ কালেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সৌরভ জানান, মন্ত্রী চলে যাওয়ার সময় ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বহিরাগতরা মন্ত্রীর গাড়ি আটকে রাখে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় মন্ত্রীর গাড়ি বের করার চেষ্টা করলে তারা লাঠি-সোটা নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হন। এসময় তাদের হামলায় সৌরভসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহতরা শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ছাত্রলীগের কালেজ শাখার সভাপতি সজীব হোসেন সবুজ জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রসংসদ নির্বাচন চেয়ে মন্ত্রীর গাড়ির সামনে অবস্থান নিলে কলেজের সাবেক ভিপি আফজাল হোসেন রিপন সরকার ও তার সমর্থকদের সঙ্গে বাক-বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
আরএস/এএটি/বিএস