দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর এফএম শরিফুল ইসলামকে সভাপতি এবং এস.এম সিরাজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি গঠন করা হয়। এক বছরের পরিবর্তে প্রায় সাড়ে ৪ বছর থাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটিই চালায় শাখা ছাত্রলীগের যাবতীয় কার্যক্রম।
নতুন কমিটির নেতৃত্বে আসার আলোচনায় আছেন সাইদুর রহমান জুয়েল, তরিকুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম টিটন, হারুনুর রশিদ, তানভীর রহমান খান, জহির রায়হান আগুন, সুরঞ্জন ঘোষ, শামীম রেজা, মো. ইব্রাহিম ফরাজী, আনিসুর রহমান শিশির এবং নুরুল আফসার।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ নিজেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের অনুসারী ও তার প্রার্থী পরিচয় দিয়ে গত তিন বছর ধরে ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়ান। বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি অবৈধভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকেন। কিছুদিন আগে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগে তার কয়েকজন অনুসারি আটক হয়। তার অনুসারীরা ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় নিরীহ ছাত্রদের অহেতুক মারপিট, বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও নিয়মিত সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে নতুন বিল্ডিং’র নীচে আন্ডার গ্রাউন্ডে মাদক ইয়াবা-গাঁজার আসর বসান। গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চারজন সাইকেল চোরকে ক্যাম্পাস থেকে আটক করে পুলিশে দেয়। অভিযোগ রয়েছে, তারা হারুনের অনুসারীদের যোগসাজসে সাইকেল চুরি করতো।
আর আনিসুর রহমান শিশিরকে সংগঠন বহির্ভূত নানা অপকর্মের দায়ে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। একাডেমিক পরীক্ষায় নকলের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে। মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করায় তার বিরুদ্ধে তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের কাছে অভিযোগ করেছিলেন বাংলাবাজারের জননী কুরিয়া সার্ভিস।
অভিযোগ রয়েছে, শিশিরের বড় ভাই নেত্রকোনা জেলা সাবেক ছাত্রদল ও বর্তমান যুবদল নেতা। তার বাবা বিএনপি সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।
সাইদুর রহমান জুয়েলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্র নেতা হওয়ার বয়স শেষ হয়ে গেছে। আর যাদের বিরুদ্ধে সদরঘাটে নিয়মিত চাদাবাজির অভিযোগ রয়েছে তারা হলেন- ইব্রাহিম ফরাজী, তানভীর রহমান খান, সুরঞ্জন ঘোষ, শামীম রেজা, কামরুল, জহির রায়হান আগুন, টিটন।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, অভিযুক্ত কাউকে ছাত্রলীগের কমিটিতে ঠাই দেওয়া হবে না। ছাত্রলীগের কোনো নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটি যতো দ্রুত সম্ভব ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৭
জেডএম/