ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা ঢাকা বসে এতো বড় বড় কথা বলছেন। তাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) যিনি, তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তিনি কি একবারও হাওরে গিয়েছেন?
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী হল শাখার ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একবার হাওরাঞ্চলে গিয়েছিলেন। তিনি দুর্গত মানুষকে কোনো সাহায্য দেননি। যারা সেখানে সাহায্য নিতে গিয়েছিল, তারা খালি হাতে ফিরে গেছেন। আসলে তিনি গিয়েছিলেন সেখানে ফটোসেশনের জন্য। এরপর ঢাকায় এসে এটা নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন। তাদের নেত্রী কি একবারও গিয়েছিলেন?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যে গণতন্ত্রের কথা বলে, আসলে তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি ‘ভূতের মুখে রাম নাম’। তারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের বলে। তাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিলো রাতের বেলায় কারফিউ আর দিনের বেলা খাল কাটা।
‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন তারা বর্জন করলো গণতন্ত্র উদ্ধার করবে বলে। তখন তারা কত মানুষ পুড়িয়ে মারলো। তারা ১৬৫ জন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করলো। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালালো। এর আগে হেফাজতের সমাবেশ দেখে খালেদা জিয়া গদগদ হয়ে ঢাকাবাসীকে তাতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন। এরপর বায়তুল মোকররমে মসজিদে আমরা আগুন জ্বলতে দেখলাম। কোরআন শরিফ পুড়লো। এটা কি বিএনপির গণতন্ত্র? পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ মারা কি তাদের গণতন্ত্র? তাদের গণতন্ত্র আসলে ম্যাজিকের তাস। কথায় কথায় রং বদলায়। কখনো বিবি, কখনো গোলাম। ’
ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের নেতাদের আকর্ষণীয় হতে হবে। মেধা, বুদ্ধি, যোগ্যতা, দক্ষতা দিয়ে তাদের আকর্ষণীয় হতে হবে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এমন কিছু করা যাবে না যেন শেখ হাসিনার অর্জন কষ্ট হয়। ছাত্রলীগের দু’একজনের খারাপ আচরণে শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জন যেন নষ্ট না করে, সে দিকে লক্ষ্য রাখাতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এসকে/এইচএ/