সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করার পর তাকে বহনকারী গাড়িসহ পুড়িয়ে দেয়। স্থানীয়দের অভিমত এমন নৃশংশতা এর আগে ফেনীর মানুষ দেখেনি!
সেই বর্বরোচিত হত্যার শিকার একরামুল হক একরামের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
একরামুল হক একরামের স্ত্রী তাসনীম ক্ষোভে-দুঃখে সন্তানদের নিয়ে ছেড়ে গেছেন ফেনী শহর। বিচার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতেও রাজি হননি। তাসনীম বলেন- কিছু বলতে চাই না। আল্লাহ বিচার করবে। বিচার তার কাছেই চাইব।
ঘটনার পর নিহতের বড় ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী মিনারকে প্রধান আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে ওই বছরের ২৮ আগস্টে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মাহতাব মিনার, আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আদেল, জিহাদ চৌধুরী, কমিশনার শিবলুসহ ৫৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
আসামিদের মধ্যে বর্তমানে ২৪ জন কারাগারে, ২১জন জামিনে ও ১১ জন পলাতক রয়েছেন। মামলার ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। চলতি বছরের ১২ জুন মামলাটির পরবর্তী সাক্ষগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরামের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শনিবার (২০মে) সকাল ১০টায় স্থানীয় বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সে কুরআনখানি, দোয়া মাহফিল ও কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
এতে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন নাসিম, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি, সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বিকম, সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার মজুমদার তপনসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
এসএইচডি/এমজেএফ