শনিবার (২০ মে) দুপুরে ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সম্পদ দত্ত সৈকতের নেতৃত্বে কলেজ ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ডা. মমিনুর রহমান জিন্নাহ, মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সম্পদ দত্ত, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নৃপেন্দ্র সিং, মেডিকেল কলেজ নারী নেত্রী মার্জিয়া আহম্মেদ জীম, মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট শাখার সভাপতি আব্দুল জলিল, গালিব রিজভী, স্বাদ মাহমুদ জয় প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাচিপ মহাসচিব ডা: এম.এ. আজিজের ছোট ভাই এইচ.এম. ফারুক ওরফে টুপি ফারুকের হাতে দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি হয়ে আছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
টেন্ডার ও নিয়োগ বাণিজ্য, চিকিৎসকদের মর্জি মাফিক অন্যায়ভাবে বদলিসহ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন তার এ গুণধর ছোট ভাই। তাদের অনৈতিক সব কর্মকাণ্ডে এখানকার ছাত্র-শিক্ষকরাও অতিষ্ঠ।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ তাদের অপকর্মে সহায়তা না করায় দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাই ক্ষুব্ধ ছিলেন- এমনটি উল্লেখ করে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, মূলত এ কারণেই মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগকে শায়েস্তা করতে তাদের বাড়িতে বহিরাগত দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান তুষার ও ইন্টার্ন চিকিৎসক মেহেদী হাসান কবিরকে আসামি করা হয়েছে।
প্রায় সব বক্তাই অভিন্ন সুরে অভিযোগ করে বলেন, হামলার ঘটনায় কবির বা তুষারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অথচ স্বাচিপ মহাসচিব ও তার ভাই টুপি ফারুকের নির্দেশে তাদের আসামি করে মামলা করেছে কলেজ প্রশাসন। দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহার না হলে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে নগরীর পুরোহিত পাড়ায় ডা. এম আজিজের বাসায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার কোতোয়ালী মডেল থানায় ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান তুষার ও ইন্টার্ন চিকিৎসক মেহেদী হাসান কবিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
এমএএএম/জেডএম