ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

খালেদার কার্যালয় মানুষ পোড়ানোর প্রতীক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
খালেদার কার্যালয় মানুষ পোড়ানোর প্রতীক বত্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ,ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালকে আগুন সন্ত্রাস ও মানুষ পোড়ানোর প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হল রুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।  

আওয়ামী লীগ সভাপতি  শেখ হাসিনার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন- খালেদা জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্রের নেত্রী, আর তার কার্যালয় হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রতীক।
 
ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম জিয়ার কার্যালয় তল্লাশি হয়েছে। পুলিশ তল্লাশি করেছে কোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে। তল্লাশি হওয়ার পর বিএনপি নেতাদের সে কি বক্তব্য! মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন, বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেত্রী। আর বেগম খালেদা জিয়ার এই কার্যালয় হচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতীক।  
 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে চাই, এই কার্যালয় হচ্ছে মানুষ পোড়ানোর প্রতীক। কারণ, এ কার্যালয়ে থেকে ২০১৫ সালে ৯২ দিন খালেদা জিয়া সেখানে বসে থেকে মানুষ পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং এ কার্যালয় হচ্ছে অগ্নি সন্ত্রাস, নৈরাজ্য আর মানুষ পোড়ানোর প্রতীক- বলেন হাছান মাহমুদ।  
 
তিনি বলেন, এ কার্যালয় অনেক আগেই তল্লাশি হওয়া প্রয়োজন ছিল। সরকার বরং দেরি করেছে। কোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই কার্যালয় তল্লাশি হয়েছে। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের বলব, কার্যালয়ের সামনে গিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চান। মিলাদ পড়িয়ে পবিত্র করেন।
 
কারণ, এ কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের জড়ো করে রেখেছিলেন খালেদা জিয়া। দিনের পর দিন মানুষ পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুধু মানুষ নয়, গাছ-পালা, পশু-পাখির উপর পোট্রোল বোমা নিক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া- বলেন আওয়ামী লীগের এ প্রচার সম্পাদক।  
 
বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন- দল গোছানোর পর মাঠে নামবেন। আমরা বিএনপির দল গোছানোর নমুনা দেখেছি। যেখানেই মিটিং হয়, দুই গ্রুপ মারামারি করে। চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে। আর কেন্দ্রীয় নেতারা পালিয়ে বেড়ায়। এটা হচ্ছে খালেদা জিয়ার দল গোছানোর নমুনা।  
 
তিনি বলেন, একবার আন্দোলনে নেমে পেট্রোলবোমা মেরেছেন। জনগণ তাদের লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। এবার আবার আন্দোলনে নেমে পেট্রোলবোমা মারলে ডাবল লালকার্ড দেখাবে।  
 
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম আতিক, ঢাকা মহানগর  (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
এজেড/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ