ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে বুধবার (২৮ জুন) সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে বিএনপি আন্দোলনে যাবে- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন তো আট বছর ধরে শুনছি, আট বছরে আট মিনিটও তাদের সংঘবদ্ধভাবে রাস্তায় দেখিনি।
দলটির আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে একটা বিষয় দেখেছি, পেট্রোল বোমার ব্যবহার দেখেছি। মানুষ পুড়িয়ে মারা, গাছ কাটা, রাস্তা কাটা, রেল লাইনের ফিসপ্লেট উঠিয়ে দেওয়া, বিদ্যুৎ স্টেশন উড়িয়ে দেওয়া, ইলেকশনের বুথ-বাক্স, স্কুল পুড়িয়ে দেওয়া- এগুলো দেখেছি। তবে জনগণকে নিয়ে দলটিকে আন্দোলনে দেখিনি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচন হবে। সংবিধানে যেটা আছে সেটা হচ্ছে, ইলেকশনটা ইলেকশন কমিশনের অধীনেই হবে। কোনো সরকারের অধীনে হবে না। ইলেকশনের সময় যে যে বিষয়গুলো, যে যে মন্ত্রণালয় এবং সংস্থা ইলেকশন রিলেটেড সেগুলো কিন্তু ইলেকশন কমিশনের অধীনে ন্যাস্ত হবে। তখনকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে যে সরকার, সেই সরকারের কোনো মেজর পলিসি ডিসিশনে কোনো ভূমিকা থাকবে না। এমনকি সে সময় আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টা বেশি প্রয়োজনীয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন- এ দু’টো সরকারের কাছে থাকবে না।
ডিসি-এসপিদের দায়িত্ব-কর্তব্য স্থানীয় সরকারের অধীনে নয়, ইলেকশন কমিশনের অধীনে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বিষয়টা পরিষ্কার জানা উচিত। ইলেকশন কমিশনই তখন মূল বিষয়। ইলেকশন কমিশনের অধীনেই তখন নির্বাচন হবে।
‘আর সরকার থাকবে, এ সরকার থাকবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের সময় সরকার যে ভূমিকা পালন করে, এ সরকারও, শেখ হাসিনার সরকারও একই দায়িত্ব পালন করবে। তাদের মূল কাজ হবে একটা সুন্দর, নিরপেক্ষ, ক্রেডিবল, ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা, ফেসিলেটেড করা। এটাকেই বলে সহায়ক সরকার। ফেসিলেটেড মানে হলো সহায়তা করা। কাজে তখন যে সরকার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো ক্ষমতায় থাকবে, সেই সরকারের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। তখন এ সরকারই সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস