মামলা দায়েরের পর থেকে ওই আওয়ামী লীগ নেতার লোকজন তাদের হুমকি দিয়ে আসছে বলে এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (০৩ জুলাই) বিকেলে কমলনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে শনিবার (০১ জুলাই) রাতে ভুক্তভোগী রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে ওই আওয়ামীলীগ নেতাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
রাবেয়া বেগম আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমিন রাজুর গাড়ি (ব্যক্তিগত মাইক্রোবাস) চালক মো. ফেরদৌসের ভাবি ও উপজেলার পাটারীহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে গাড়ি চালক ফেরদৌস জানান. চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতনে নুরুল আমিন রাজুর গাড়ি চালক হিসেবে চাকরি করে আসছি। ঈদের আগে (২৫ জুন) সব টাকা পরিশোধ করে দিবেন বলে মাসে মাত্র দুই হাজার টাকা দিতেন। অবশিষ্ট টাকা চাইতে গেলে তিনি আমাকে গালমন্দ করে গাড়ির চাবি নিয়ে যায়।
বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে ওই আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে ঈদের পর দিন (২৭ জুন) রাতে তার লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে বসতঘর থেকে আমাদের বের করে ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। বাধা দিলে আমিসহ, বাবা আবু তাহের ও ভাই মাইন উদ্দিনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেন তারা।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমার বাবা আবু তাহেরকে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আমি ও আমার ভাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।
ফেরদৌসের ভাই মো. ইউছুফ বলেন, অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু ও তার লোকজনের ভয়ে আমরা বাড়ি ছাড়া। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গাড়ি চালক ফেরদৌস আমার বাড়িতে থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। তার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর ঘটনা সত্য নয়। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৭
ওএইচ/