রোববার (০৯ জুলাই) দুপুরে উন্নত চিকিৎসাধীন জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
হেলাল মিয়া উপজেলা সদরের উত্তরপাড়া গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুন সকালে মুরাদনগর উপজেলার উত্তরপাড়ায় স্থানীয় কয়েকজন বখাটের মধ্যে নারী সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এ সময় হেলাল মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়কে মধ্যস্থতার করার চেষ্টা করলে, এক পর্যায়ে উত্তেজিত বখাটেরা উল্টো হেলালকেই বেধড়ক লাঠিপেটা করে। লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই হেলাল জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে হেলালের অবস্থার অবনতির ঘটলে চিকিৎসকরা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিছুদিন সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার পর হেলালের অবস্থার আরও অবনতি হলে সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। পরে বোরবার দুপুরের ঢাকা নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
হেলালের মা আয়শা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ঝগড়া মিমাংসা করতে গিয়ে জীবন দিয়েছে। আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
মুরাদনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দুই যুবককে আটক করা হয়েছে বলেও জানান হাবিবুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯,২০১৭
ওএইচ/