বুধবার (১২ জুলাই) দিনগত রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হলের কর্মচারীর বাসায় তাকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায় বলে অভিযোগ ওঠে।
বোরহান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের অনুসারী।
ছাত্রলীগের ওই নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে বোরহানের ওই বাসায় সন্দেহজনক আনাগোনা ছিলো। তবে এ দিন হলের বিপরীত পাশের রুমগুলো থেকে বোরহান ও হল কর্মচারীর মেয়েকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান হলের কিছু সাধারণ ছাত্র। এক পর্যায়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খানের অনুসারীরা সেখানে গিয়ে তাদের আটক করেন। এ সময় পুরো হলে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
এর আগেও একই বাসা থেকে ওই মেয়ের বান্ধবী ও তার প্রেমিককে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন তাদের আটককারী নেতাকর্মীরা।
এ নিয়ে হলের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বুধবার রাতে হলে একটা অ্যাক্সিডেন্ট ঘটেছে। বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। ’
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা বোরহান উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, ‘একটি ছেলে ও তার কয়েকজন বন্ধু উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে বাজে কথা বলছে। আমার সঙ্গে কাউকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায় নি। গ্রুপিংয়ের কারণে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঘটনাটা শুনেছি। তার বিরুদ্ধে যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
এদিকে ঘটনা তদন্তে হল প্রশাসন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
এসকেবি/জিপি