এ ঘটনায় ভিকটিম রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে বানরীপাড়া থানায় মামলা (নং-৯) দায়ের করেন।
মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন মোল্লার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বেতাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সকালে ওই গৃহবধূ ধর্ষণের খবর পান স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে।
থানা পুলিশ সকাল ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি মামলা ও ভিকটিমের বরাত দিয়ে জানান, ভিকটিম নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা। কাজের সুবাদে তিনি চট্টগ্রামে থাকেন। সেখানে বসে সেলিম নামে এক অটোরিকশা চালকের সঙ্গে পরিচয় হয়। যে তাকে বিয়ে করে। তবে সেলিমের এটি দ্বিতীয় স্ত্রী। সেলিম বেতাল গ্রামে নানা বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ৭/৮ দিন আগে আসেন।
খবর পেয়ে সুমন মোল্লা ও তার সহযোগীরা ওই বাড়িতে গিয়ে ২০ বছরের মেয়েটি ও তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে সুমন ধর্ষণ করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এসময় তার স্বামীকে আটকে রাখা হয়। তবে এখানে গণধর্ষণের বিষয়ে নেই।
ওসি জানান, ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষা করানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
তবে এ বিষয়টি রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন মোল্লা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এমএস/এএটি/