মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পুরান ঢাকার সরকারি কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক বলেন ডিউটিতে থাকার সময় সেনাবাহিনীর উচ্ছৃঙ্খল সদস্যরা বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে হত্যা করেছে।
‘আইনে আছে, কোনো মৃত ব্যক্তিকে ফৌজদারি বিধিতে মামলার আসামি করা হয় না। জিয়া বেঁচে থাকলে তার বিরুদ্ধেও চার্জশিট হতো। মামলায় তা প্রমাণিতও হতো। রাষ্ট্র তার সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতো বলে বিশ্বাস করি’।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি তার পরাজয়ের কথা বুঝে গেছেন। তিনি এখন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না’।
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় বিএনপি খুব উচ্ছ্বসিত ছিল। তারা এর আগেও বহু ক্ষেত্রে উল্লসিত হয়েছিল। তারা ভেবেছে, আমাদের সঙ্গে বিচার বিভাগের বৈরিতা তৈরি হয়েছে। এর আগেও তারা নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর খুব উল্লসিত হয়। কিন্তু তাতে তাদের কোনো লাভ হয়নি। এখন এসেছেন নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে। কিন্তু তাতেও তারা সফল হবেন না’।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিবিরকে রুখে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোসফিকা বেগম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন, সহ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
ডিআর/জিপি/এএসআর