শনিবার (১২ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ এক সংবাদ সম্মেলন এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে প্রধান বিচারপতি যেসব অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য এবং পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, তা দেশের আইনজীবী সমাজকে সংক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত করেছে। রায়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় সংসদ এবং অধস্তন আদালতের প্রতি রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচন কমিশন নিয়ে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। ’
এতে আরও বলা হয়, ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের এই রায় নিয়ে একটি দল ও মহল বিচারাঙ্গনকে বিতর্কিত করার পাঁয়তারা করছে। আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে দেশবাসী দায়িত্বশীল আচরণ আশা করে। বঙ্গবন্ধুকে ইঙ্গিত করে তিনি যে বক্তব্য লিখেছেন, তাতে আইনজীবীসহ সারাদেশের মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। বিষয়টি আমাদের পবিত্র সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত ও মীমাংসিত। ’
‘তিনি জাতীয় সংসদ সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন এবং এই প্রতিষ্ঠানকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। সংসদকে হেয় করা মানেই গণতন্ত্রকে হেয় করা, জনগণকে হেয় করা। আমরা আইনজীবী অঙ্গনের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ’
ব্যারিস্টার তাপস লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘এমন পর্যবেক্ষণ অসাংবিধানিক ব্যক্তিদের ক্ষমতায় আসার পথ সুগম করে। ফলে এসব মতামত-পর্যব্ক্ষেণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে। ’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘দেশের রাজনৈতিক অপশক্তিকে ইস্যু তৈরি করে দিতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি করার অপচেষ্টা চলছে। যারা দেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়, সরকার ও বিচার বিভাগকে যারা মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়, বিচারাঙ্গনকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবেন আইনজীবীরা। ’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এসকে/এইচএ/