রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যখন একজন বিচারপতি শপথ নেন, তখন তিনি কারো প্রতি বিরাগভাজন হয়ে কাজ না করার শপথ নেন। কিন্তু রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি এমন অনেকের নাম এনেছেন যাদের ওই রায়ের সাথে কোন সংশ্লিষ্টতাই নেই। এর মানে তিনি তাদের প্রতি বিরাগভাজন হয়ে এসব কথা লিখেছেন। এর মাধ্যমে তিনি তার শপথ লংঘন করেছেন। আর তা নিয়েই বিএনপি গর্ত থেকে উঁকি দিয়ে হাসছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, প্রধান বিচারপতি নিজ মুখে বলেছেন, তিনি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি পাকিস্তান আর্মির সহযোগী ছিলেন। সেজন্যই তিনি পাকিস্তানিদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন। চারশত পৃষ্ঠার যে রায় তিনি লিখেছেন সেটি পুরোপুরি তার মনগড়া, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি চিত্রনায়ক ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন ফাল্গুনি হামিদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
জেডএম/