প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (২৮ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র জানায়, বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ খাদ্য মজুদ এবং আমদানির বিষয়ে তথ্য জানতে চান। খাদ্যসচিব বৈঠকে মজুদ এবং আমদানির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমদানি করতে হবে, করেন। কিন্তু অতিরিক্ত আমদানি করবেন না। কৃষকের ধানের দামের বিষয়টিও চিন্তা করতে হবে। অতিরিক্ত আমদানি করলে কৃষকের ধানের দাম পড়ে যাবে। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষকের যাতে সমস্যা না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। এ দিকে লক্ষ্য রেখেই আমদানি করতে হবে।
সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় বিভিন্ন জায়গায় অপরিকল্পিত ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ অতিরিক্ত বন্যার কারণ হিসেবে উঠে আসে। অনেক জায়গায় এসব ব্রিজ, কালভার্টের নীচে আবার বাঁধ দিয়ে, কোথাও কোথও দেওয়াল তৈরি করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এর ফলে বন্যার পানি দ্রুত বের হতে পারছে না। ফলে জলাবদ্ধতারও সৃষ্টি হচ্ছে বলে আলোচনা করেন মন্ত্রীদের কেউ কেউ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বন্যার পানিতে যতটুকু সমস্যা হয়েছে, তারপর আবার পানি আটকে থাকায়ও সমস্যা হচ্ছে। এ সব বাঁধ কেটে দিয়ে দ্রুত পানি বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেন, জেলা প্রশাসকদের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে এসব অপরিকল্পিত বাঁধ কেটে দ্রুত পানি বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
এসকে /জেডএম