বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাতে আবুল কালাম আজাদের ছেলের দায়ের করা অপহরণ মামলার ভিত্তিতে মাইক্রোবাস ও চালককে আটক করে পুঠিয়া থানা পুলিশ। বর্তমানে তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালানে হচ্ছে।
তবে এখন পর্যন্ত আবুল কালাম আজাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানান পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে চালকের নামও পরিচয় প্রকাশ করেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
তবে পুলিশের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আবুল কালাম আজাদ পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজারের এক ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতাকে ফাঁসাতে অপহরণ নাটক সাজিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক হওয়া মাইক্রোবাস চালকও এমন তথ্য দিয়েছে পুলিশকে।
বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজদের বিরেদ্ধে থানায় ব্যাংক লুট ভাঙচুরসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি বানেশ্বর বাজারের ডাল ব্যবসায়ী ও জেলা যুবলীগ নেতা ওবাইদুর রহমানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন বিতর্কিত ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
বিষয়টি জানতে চাইলে রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ওসি সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া কোনো মন্তব্য করেননি। তবে জিজ্ঞাসাবাদে এবং পুলিশের তদন্তে অপহরণের ঘটনাটি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
রাজশাহীর পুঠিয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) খন্দকার খালেদ বিন নূর বাংলানিউজকে জানান, তদন্ত চলছে। শেষে হলে সব বেরিয়ে আসবে। তাদের প্রথম কাজ অপহৃতকে উদ্ধার করা। চালকসহ মাইক্রোবাসটি পাওয়া গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে শিগগিরই তাকে উদ্ধার করা যাবে বলে জানান এএসপি।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট (বুধবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজার বণিক সমিতির অফিস থেকে বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাজার বনিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে আইন-শৃঙ্খলা বাহীনির সদস্য পরিচয়ে সাদা পোশাকে ৪-৫ জন ব্যক্তি একটি সাদা নোহা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।
ঘটনার দিন রাতেই তার ছেলে দোয়েল আজাদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৭
এসএস/জিপি