বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এ সময় ওবায়দুর রহমান অভিযোগ করেন, রাজশাহীর পুঠিয়ার বিতর্কিত সেই আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুর রহমান আরও জানান, তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার বাণিজ্যিক সুনাম আছে। রাজনীতি করার পাশাপাশি সমাজসেবায় তার বেশ অবদান আছে।
এসব কারণে খারাপ রাজনীতির চর্চা করা ও মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ প্রায় সময় তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকেন। এর আগে ২০ আগস্ট আবুল কালাম আজাদ তার সঙ্গিসাথীদের লেলিয়ে দিয়ে বানেশ্বর বাজারে দুই দফায় তার অফিস ভাঙচুর, তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অফিসে থাকা ১৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।
এতোকিছুতেও তার সঙ্গে না পেরে ওঠায় অবশেষে আবুল কালাম আজাদ নিজে গা ঢাকা দিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই চেষ্টাও পুলিশের কাছে ধরা পড়েন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি আবুল কালাম আজাদ ও তার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা যুবলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সেলিম শেখ, বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, বেলপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুনতাসির রহমান, ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম, শাহিন প্রমুখ।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট (বুধবার) রাত ৮টার দিকে বাজার বনিক সমিতির কার্যালয় থেকে অপহরণের সাজানো নাটক করেন বানেশ্বর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। এ ব্যাপারে তার ছেলে থানায় অপহরণের মামলাও করে।
পরে গত শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) ঈদের দিন সকালে তিনি স্বেচ্ছায় তার পুঠিয়া উপজেলার নামাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে পুলিশ গেলে স্বেচ্ছায় অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করেন। সেদিন দুপুরেই তাকে পুলিশ আটক করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নিতে আদালতে পাঠায়। পরে গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/