সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিকেলে সরকারি শাহসুলতান কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাহা এ ঘটনা অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ বিধিবহির্ভূত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আইসিটি ল্যাবের জন্য ৩শ’ করে টাকা নিচ্ছেন।
তবে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. এজাজুল হক তার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতার আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, কলেজের নির্দিষ্ট রশিদের মাধ্যমে আইসিটি ল্যাবের ফি নেওয়া হচ্ছে। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, মূলত নকল করার অপরাধে এক ছাত্রকে বহিষ্কারের পরপরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার অফিস কক্ষে আসে এবং অশালীন আচরণ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা অফিস কক্ষের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে কলেজ শিক্ষার্থীরা জানায়, এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে নকলের দায়ে একজন শিক্ষক ছাত্রলীগ কর্মী জোবায়ের হাসান জয়ের খাতা কেড়ে নেন। এ সময় ওই শিক্ষককে উপস্থিত সবার সামনে লাঞ্ছিত করে ওই পরীক্ষার্থী। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিলো।
সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জোবায়ের হাসান জয় ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে আসলে কলেজের অধ্যক্ষ তার খাতা কেড়ে নেন এবং তাকে বহিষ্কার করে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দেন।
খবর পেয়ে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এমনকি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাহার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অধ্যক্ষের অফিস কক্ষ ছাড়াও কলেজের অফিস কক্ষে হামলা চালিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় তারা অধ্যক্ষকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয় ও তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
পরে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে এগিয়ে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের রোষানল থেকে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে বলে জানায় কলেজ শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি