সোমবার (১১ সেপ্টম্বর) রাতে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. এজাজুল হক বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাহাসহ সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মামলা দায়ের পর ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয় ছাত্রলীগ নেতা সোহেল ও অনিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে ভাঙচুরের ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাহা, জেলা ছাত্রলীগে সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম শাওন ও ছাত্রলীগ কর্মী সোহেলকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমুর রাজ্জাক তিতাস বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে এইচএসসি পরীক্ষা চলারকালে নকলের দায়ে একজন শিক্ষক ছাত্রলীগ কর্মী জোবায়ের হাসান জয়ের খাতা কেড়ে নেন। এ সময় ওই শিক্ষককে উপস্থিত সবার সামনে লাঞ্ছিত করে ওই পরীক্ষার্থী। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিলো।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জোবায়ের হাসান জয় ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে আসলে কলেজের অধ্যক্ষ তার খাতা কেড়ে নেন এবং তাকে বহিষ্কার করে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দেন।
খবর পেয়ে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এমনকি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাহার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অধ্যক্ষের অফিস কক্ষ ছাড়াও কলেজের অফিস কক্ষে হামলা চালিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় অধ্যক্ষকে তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয় ও তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
পরে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে এগিয়ে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের রোষানল থেকে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে।
** শাহসুলতান কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষ ছাত্রলীগের ভাঙচুর
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি