বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হলে আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে যুক্তরাজ্য হয়ে আগামী ৭ অক্টোবর দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, আগামী ’১৯ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখা ভুলে যান। ’২৪ সালের নির্বাচনেও জয়লাভ করার স্বপ্ন দেখবেন না। তারপরও যদি কোনো ভাল কাজ করে থাকেন, তখন আপনাদের কথা জনগণ ভাববে কি-না সন্দেহ।
বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই দলের ভবিষ্যৎ যে নেই এটা তারাও বুঝে গেছে। তাই দলটি সবসময় ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজে বের করে। বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, তারা কখনোই দেশের উন্নয়ন দেখতে চায় না।
প্রধান বিচারপতি অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি নিয়েছেন জানিয়ে হানিফ বলেন, তার ছুটিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কেন তিনি ছুটিতে গেলেন এ বিষয়ে তারা কৈফিয়ত চান। প্রধান বিচারপতি ছুটি নিবেন কি-না, তা কি বিএনপির কাছে জবাবদিহি করতে হবে? কত বড় ধৃষ্টতা দেখিয়েছে বিএনপি। আপনাদের সাবধান করে দিতে চাই, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের পথ থেকে ফিরে আসুন।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরা উপলক্ষে তাকে সংবর্ধনা দেবো। কিন্তু বিএনপির এক নেতা সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, সরকারি খরচে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে। অবাক হয়ে গেলাম, সেই দলের নেতাকর্মীদের চিন্তা-ভাবনার কথা শুনে। প্রধানমন্ত্রীকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ জনগণ সংবর্ধনা দেবেন, এখানে আপনারা সরকারি খরচ কোথায় দেখলেন?
বিএনপি কখনোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতা দেখতে পায় না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গত নয় বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে যখন সারাবিশ্ব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে, তখনো বিএনপি বলছে কোনো উন্নয়ন হয়নি, এগুলো পরশ্রীকাতরতা।
সভাপতির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি সারা বিশ্বের নন্দিত নেতা। তিনি এ পর্যন্ত ২৮টি আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। সারাবিশ্বে যে চারজন নেতা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের একজন। বিশ্বে শ্রেষ্ঠ ১০০ নেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ১৩তম।
আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, কোরবানি ঈদের আগের রাতে গরু হারালে যে অবস্থা হয়, বিএনপির অবস্থা এখন তেমন। বিএনপি সব হারিয়েছে, এখন কোনটা ধরবে আর কোনটা ছাড়বে বুঝতে পারছে না। আমরা বোঝালেও বোঝে না। সর্বোচ্চ আদালতকে নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করবেন না। সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান বাচ্চু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৭
পিএম/এইচএ