তিনি বলেন, আমরাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন করে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। মানুষ তার ভোটের অধিকার, তার সাংবিধানিক অধিকার যেন স্বাধীন ভাবে প্রয়োগ করতে পারে, এটাই আমাদের লক্ষ্য।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যতক্ষণ শ্বাস আছে, ততক্ষণ দেশের ও গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে যাব। আজকের সভায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপের জন্য প্রস্তাব গুলো চূড়ান্ত করা হবে।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের এ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই সভাপতিত্ব করছেন।
যৌথসভায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থি রয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫’র পর নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে হত্যা-ক্যু’র রাজনীতি শুরু হয়। হত্যা ক্যু রাজনীতি, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের রাজনীতির পালা শুরু হয়, সেখানেই কিন্তু জনগণের অধিকার নিয়ে রাজনীতির শুরু। হ্যা না ভোট, নির্বাচনের নামে প্রহসন শুরু হয়।
তিনি বলেন, আর্মি রুলস এবং অ্যাক্ট লঙ্গণ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ। এর পর ক্ষমতায় যেয়ে দল গঠন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, উর্দি পরে ক্ষমতায় গিয়ে তারপর দলগঠন করে রাজনৈতিক নেতা হয়ে যাওয়া। দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ধর্বংস করে। এ ধরণের সামরিক শাসনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করার একটা সূচনা করা হয়েছিলো।
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বৈধ করার প্রক্রিয়া। এরপর এরশাদ সেও এসে একই প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন।
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করি। সেই গণতান্ত্রিক ধারাকে আবার ব্যাহত করলো খালেদা জিয়া। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া ভোটারবিহীন একটা নির্বাচন করলো যদিও বাংলাদেশের জনগণ সে নির্বাচন মেনে নেয়নি। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা থেকে নামানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় সংসদে ভোট কারচুপির মাধ্যমে কোনোমতে কাউকে বসিয়ে দিয়ে তামাশা করা হয়েছে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্য হলো, যারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধী করেছিলো তাদের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে তাদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল।
আত্মস্বীকৃত খুনীদের সংসদ সদস্য করা হয়। যুদ্ধাপরাধীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় লাখো শহীদের রক্তে পাওয়া পতাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
এসকে/এমইউএম/এসএইচ/এমআরএম/এসআরএস