তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিয়ে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, আদালত নাকি তাকে হেনস্তা করছে, তবে আমি বলবো তিনি (খালেদা জিয়া) আদালতকে হেনস্থা করেছেন। বার বার সময় নিয়ে ৮ মাস বিচার কার্যক্রমকে বিলম্বিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় আদালত চত্বরে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা হাতাহাতি করে প্রমাণ করেছে তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন, তারা আইন মানেন না।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আওয়ামী লীগের সদস্য পদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।
গুলশান-২ ইয়ুথক্লাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি একে এম রহমত উল্লাহ।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আমি জানতে চাই তিনি (খালেদা) কোন আইনে কোন নিয়মের বলে বার বার বিচারিক কার্যক্রমকে বিলম্বিত করছেন। আইনের প্রতি যদি শ্রদ্ধা থাকে তাহলে বিএনপির আইনজীবীরা কি করে আদালতে হাতাহাতি করেন। এই দল ক্ষমতায় গেলে কি হবে বুঝতেই পারছেন। খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার সময় সংবর্ধণা দিতে নেতাকর্মীদের যে উপস্থিতি ছিলো তার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার সময় সংবর্ধণা দিতে আসা বেশি ছিলো আমাদের নারী নেতাকর্মীদের উপস্থিতি। বিএনপির কর্মীরা রাস্তা দখল করে বিশৃঙ্খলা করেছে। এতে যে দুর্ভোগ হলো সেটা মিডিয়াতে তেমন একটা দেখলাম না। কোনো কোনো মিডিয়া এটা এড়িয়ে গেছে। অথচ আওয়ামী লীগের পান থেকে চুন খসলে ধরে বসে।
কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের সংলাপে আমরা কখনো বলিনি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন মনে করলে আইন অনুযায়ী সেনা মোতায়েন করতে চাইলে করবে।
আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী এবং সাম্প্রদায়িক কোনো ব্যক্তি ও সাম্প্রদায়িক শক্তির দোসর আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। নতুন সদস্য সংগ্রহে আমাদের টার্গেট প্রথম ভোটার যারা হয়েছেন তারা এবং নারী ভোটার। তরুণ ও নারী ভোটাদের সদস্য করা আমাদের টার্গেট।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭/আপডেট ১৩২৬
এসকে/বিএস