মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিঠুন বাড়ই অগ্রণী ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দেওয়ার সময় বোটানি বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম শান্তর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডিকে বিষয়টি জানালে সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাম্বুলেন্সে করে মিঠুনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
তৌহিদুল ইসলাম শান্ত জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের গ্রুপে (তরিকুল গ্রুপ) ময়মনসিংহ গ্রুপ থেকে সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ছাত্রলীগ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তবুও বুধবার (২৫ অক্টোবর) আমরা বিষয়টি নিয়ে বসে পর্যালোচনা করে দেখবো। যদি ছাত্রলীগের কেউ হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তহিদুল ইসলাম শান্ত ঘটনার সতত্য স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার এক আপু ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা দিচ্ছিলেন। মিঠুন বাড়ই তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি করেন। আমি তাকে থামতে বলি। এসময় মিঠুন আমাকে ঘুষি মারে। এ সময় আমার হাতে রড ছিলো। রড দিয়ে তার হাতে আঘাত করি। তারপর বড় ভাইদের নির্দেশে চলে আসি’।
রাজনীতি করেন কিনা জানতে চাইলে শান্ত বলেন, ‘আমি জবি ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ভাইয়ের সঙ্গে রাজনীতি করি’।
জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া সময় দুই সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি খবর শুনে আমাদের কয়েকজন নেতাকে পাঠাই। তারা আহত মিঠুনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়।
শান্তের স্বীকারোক্তির বিষয় স্মরণ করিয়ে দিলে তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় আমরা কলা ভবনে ছাত্রদল বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলাম। তারা ছাত্রলীগের কর্মী হলে তো আমাদের সঙ্গেই থাকতো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, মিঠুনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
ডিআর/জিপি