শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুর শহরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গাজীপুর শহরের রাজবাড়ী সড়কের পাশে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা চলছিলো।
সভা শুরুর পর জামিল হাসান দূর্জয় বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক নিয়ে সভাস্থলে আসেন। দূর্জয় সভাস্থলে প্রবেশের সময় প্রতিপক্ষ ইকবাল হোসেন সবুজ সমর্থক কর্মীরা সভা কক্ষের সামনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সভাস্থলের বাইরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
এদিকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতির কারণে জেলা শহরের প্রধান সড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় দুই পক্ষের হাতাহাতিতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এ সময় কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়।
গাজীপুর সদর উপজেলার সাবেক ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সম্প্রতি গাজীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে জেলা আওয়ামী লীগ। যা ছিল সম্পূর্ণ দলীয় গঠণতন্ত্রের পরিপন্থী। বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কাযনির্বাহী কমিটির পূর্বনির্ধারিত সভা চলছিলো। ওই সভায় সদর উপজেলা কমিটি বাতিলের দাবি জানাতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হচ্ছিলাম। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ ব্যাপারে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সভাস্থলের প্রবেশ মুখে কর্মী সমর্থকদের ভিড়ে নেতারা সভাস্থলে ঢুকতে পারছিলেন না। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
আরএস/জিপি