শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ও দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উদযাপনে আনন্দ শোভাযাত্রার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুকে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় তার পক্ষের কর্মীরা ফুঁসে ওঠেন। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে ফিরোজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন অংশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন সম্পাদক আমিনুলের সমর্থকরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি করে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন।
এদিকে, দুপুরে কলারোয়া থানার মধ্যে ফের সংঘাত শুরু হয়। থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তারের সঙ্গে দলীয় নেতা ও কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে ফিরোজ গ্রুপ প্রতিপক্ষের লাল্টু গ্রুপকে সন্ত্রাসী ও আসামি বলায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নেতাকর্মীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সেখানে লাঠিচার্জ করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউএনও অফিস, উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিস, এলজিইডি, পরিসংখ্যান অফিস, নির্বাচন অফিসসহ বেশ কয়েকটি অফিস ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের দু্ই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
টিএ