'রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ উৎসব' উপলক্ষে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র মিলনায়তনে ঢাকাস্থ রুশ ফেডারেশন দূতাবাস আয়োজিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও রুশ বিপ্লবের মাসব্যাপী আলোকচিত্র, পেইন্টিংস, টোরাকোটা, উডওয়ার্ক ও নকশা শিল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সজিব ওয়াজেদ জয়ের 'আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে জয় লাভ করবে' শীর্ষক বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুলের দেওয়া বক্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা দয়া করে নির্বাচন ছেড়ে পালাবেন না।
বিএনপির তোলা সংবিধান সংশোধনের দাবির সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কারো সুবিধার্থে দেশের সংবিধান সংশোধিত হতে পারে না। পৃথিবীর যত দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে সব দেশে যে দল রাষ্ট্র পরিচালনা করে তারাই নির্বাচন কালীন সময়ে রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন সরকারের বর্তমান সময়ে যে ক্ষমতা সে রকম ক্ষমতা থাকে না। তখন একজন ওসি বা থানার দারোগাকে ট্রান্সফারের ক্ষমতাও থাকে না। কারণ তখন সমস্ত সরকারি প্রশাসন বিশেষত যে গুলো নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত সবগুলোই নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, এই পদ্ধতি যেমন রয়েছে তেমনি ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ পৃথিবীর সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশে এই পদ্ধতি প্রচলিত। কারো আবদার বা সুবিধার্থে সংবিধান পরিবর্তনের দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অন্যতম মূলমন্ত্র হচ্ছে সমাজনীতি। সেই সমাজনীতি অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে শুরু করে স্বামী পরিত্যক্তা ভাতাসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা চালু করেছে। বাংলাদেশকে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্টেট হিসেবে তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির চেয়ারম্যান ড. আবুল অাজাদের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক আলেকজান্ডার পি ডেমিন, প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
জেডএম/