বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের মেহেরদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষে হয়। এই সংঘর্ষে জড়িয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পুরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান মিয়ার সমর্থক মিলু মাতুব্বর ও আওয়ামী লীগ নেতা একই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান ফকিরের সমর্থক পৈলান খানের লোকজন।
আহতদের মধ্যে ৩৫ জনকে নগরকান্দা ও মুকসুদপুদ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ইস্রাইল খান, ইউনুস খান ও শাহিন মাতুব্বরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিলু মাতুব্বর ও পৈলান খানের সঙ্গে জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সকালে মিলু মাতুব্বরের সঙ্গে পৈলান খানের ভাই হেলাল খানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র ঢাল-সড়কি, বল্লম, রামদা, ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক অহত হয়। খবর পেয়ে নগরকান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আব্দুস সোবহান মিয়া বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, মান্নান ফকিরের নেতৃত্বে পাশ্ববর্তী দফা গ্রাম থেকে প্রায় দুইশ’ লোক এসে মেহেরদিয়া গ্রামে তাণ্ডবলীলা চালায়। এসময় তারা বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
তবে মান্নান ফকির অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, মেহেরদিয়ার যে সংঘর্ষ হয়েছে তা ওই গ্রামের নিজস্ব ব্যাপার। শুনেছি জমির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। আমি এবং আমার কোনো লোকজন এর সঙ্গে জড়িত নই।
নগরকান্দা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বাংলানিউজকে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এইচএ/