আহতরা হলেন- আকুব্বর মোল্যা (৪৫), নৈমুদ্দিন মোল্যা (৫০), রাকিব (২০), খালেক মোল্যা (৪০), রাকিব শেখ (২০), সারোয়ারজান মোল্যা (৪২), সাহেরা বেগম (৪৫), বাশার মোল্যা (৪০), হারেজ মোল্যা (৩৫), মিন্টু মোল্যা (২৭)।
বুধবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার রামনগর ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রামনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্দার ফকিরের সঙ্গে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কুদ্দুস ফকিরের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো।
বুধবার সকালে মান্দার ফকিরের সমর্থক নয়নকে মারধর করে কুদ্দুস ফকিরের লোকজন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে আটটার দিকে উভয় পক্ষের কয়েকশ সমর্থক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় জড়িয়ে পড়েন। প্রায় দুই ঘণ্টার এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে নৈমুদ্দিন মোল্যার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
হামলা ও পাল্টা হামলার সময় রামনগর ইউনিয়েনের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সারোয়ারজান মোল্যা, খালেক মোল্যা, হাসান মাতুব্বর, সালাম শেখ, কালাম তালুকদার, নয়ন তালুকদার, জামাল, মুশা তালুকদারের বাড়িসহ ১৫ বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে নগরকান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নগরকান্দা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
ওএইচ/